কর্মস্থলের আদব কায়দা : নিখুঁত কাজ আপনার। কর্মস্থলে কাজের বিষয় আপনার ‘ভুল’ ধরাটা বেশ কঠিন। তবু সহকর্মীরা এড়িয়ে চলে আপনাকে। বসের চোখেও আপনার প্রতি বিরক্তির ছায়া।
[ কর্মস্থলের আদব কায়দা | ক্যারিয়ার ম্যানেজমেন্ট | শামস্ বিশ্বাস ]
[[[ ক্যারিয়ার ক্যাটালগ:
- ইন্টেরিয়র ডিজাইনে ক্যারিয়ার । ক্যারিয়ার ক্যাটালগ
- আর্কিটেক্ট পেশা । ক্যারিয়ার ক্যাটালগ
- প্লাষ্টিক সার্জন [ Plastic Surgeon ] ক্যারিয়ার গাইডলাইন
- কার্ডিয়াক সার্জন [ ক্যারিয়ার ক্যাটালগ ]
- ডেটা এনালিস্ট । ক্যারিয়ার ক্যাটালগ
- পেইন্টার পেশা [ Painter Profession ] ক্যারিয়ার ক্যাটালগ
- চার্টার্ড সেক্রেটারি । ক্যারিয়ার ক্যাটালগ
- ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট ক্যারিয়ার । ক্যারিয়ার ক্যটালগ
]]]
মানুষ হিসাবে আপনার মধ্যে জটিলতা কম, তবু কর্মস্থলে কীভাবে অন্যের সঙ্গে কথা বলতে হয় বা মিশতে হয়, সেই আদব-কায়দাটাই আপনি জানেন না। এবার একটু পাল্টান। দেখবেন অন্যরাও স্বতঃস্ফুর্তভাবে এগিয়ে আসছে। এর জন্য যা করবেন:
- প্রতিষ্ঠানের যদি নিজস্ব ড্রেস কোড থাকে, তা হলে অবশ্যই সেটা মেনে চলা উচিত। আর না থাকলে এমন পোশাক পরা উচিত যা আপনার ব্যক্তিত্ব ও রুচির সঠিক প্রকাশ ঘটাবে। আপনার আত্মবিশ্বাস আরও বাড়বে।
- সকলের সঙ্গেই মিশুন, কিন্তু দূরত্ব বজায় রাখুন। ব্যক্তিগত কথাবার্তা এড়িয়ে চলুন। অন্যেও ব্যক্তিগত বিষয়েও কৌতূহল দমন করুন।
- ‘সরি’, ‘থ্যাঙ্ক ইউ’, ‘প্লিজ’, ‘এক্সকিউজ মি’Ñএই শব্দগুলি ব্যবহার করতে শিখুন। কর্মস্থলে অন্যকে সম্মান জানাতে বা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এগুলো জরুরি।
- বস্ বা অন্য কারও কক্ষে প্রবেশ করার আগে অবশ্যই অনুমতি নিন। সঙ্গে সঙ্গে অনুমতি না মিললে (কক্ষে কেউ থাকলে), বাইরে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করবেন না। নিজের জায়গায় যান, কিছুক্ষণ পর ফের আসুন।
- নিজের কাজের স্বচ্ছতা বজায় রাখুন। আপনার পোশাক, ব্যবহার, হাঁটা-চলায় যেন পেশাদারিত্বেও ছোঁয়া থাকে।
- সহকর্মীরা কথা বলছেন, তাঁকে থামিয়ে কথা বলবেন না। তাাঁর কথা শেষ হলে আপনি বলবেন। এমনকী তাঁর সঙ্গে কোন বিষয়ে আপনি যদি সহমত নাও হন, তাহলেও তাঁর কথা শুনবেন।
- কাজ করতে করতে ক্লন্তিবোধ করতেই পারেন, অসুস্থ বোধ হতেই পারে। তখন একটু আরাম পাওয়ার জন্য এমন কোনও আচারণ বা কাজ করবেন না, যা দৃষ্টিকটু হতে পারে।
- সময়ানুবর্তিতা খুব বড় বিষয়। পেশাদার হতে গেলে সময়কে গুরুত্ব দিতেই হবে।
- কর্মস্থলে অন্যের সঙ্গে যোগাযোগ রাখাটা খুবই জরুরি। এতে অন্যের সাহায্য পাওয়া যায়, অনেক ক্ষেত্রে কাজ দ্রুত হয়। আর পারস্পরিক বোঝাপড়ায় অনেক জটিল সমস্যারও সমাধান হয়ে যায়।
সবশেষে, আপনার ব্যবহার আপনার পরিচয়। নম্র, ভদ্র, বিনয়Ñ আপনাকে অন্যদের থেকে একটু এগিয়ে দেবে। এছাড়া আপনার কাজ যেন অন্যের বিরক্তির কারণ না হয়, সেদিকে নজর দেবেন।
আরও পড়ুন:
- ক্যারিয়ার ম্যানেজমেন্ট সূচি | ক্যারিয়ার ম্যানেজমেন্ট | শামস্ বিশ্বাস
- ম্যানেজমেন্ট ট্রেইনি অফিসার (এমটিও) | ক্যারিয়ার ক্যাটালগ
- অফিসে নয় আবেগ | ক্যারিয়ার ম্যানেজমেন্ট | শামস্ বিশ্বাস
- ‘না’ বলতে শিখুন | ক্যারিয়ার ম্যানেজমেন্ট | শামস্ বিশ্বাস
- সহকর্মী ব্যবস্থাপনা | ক্যারিয়ার ম্যানেজমেন্ট | শামস্ বিশ্বাস
- বায়োটেকনোলজিস্ট [ Biotechnologist ] ক্যারিয়ার ক্যাটালগ