চাপ কমানোর দাওয়া | ক্যারিয়ার ম্যানেজমেন্ট | শামস্ বিশ্বাস : কর্মজীবন কিংবা ব্যক্তি জীবনে ‘চাপ’ হল হর্ডল রেসের মতো, একটাকে টপকালে আরেকটা এসে পড়ে। এর হাত থেকে নিস্তারের কোনও উপায় নেই। তবে চাপ কমানো বা সহজে মোকাবিলার কিছু নিয়ম আছে। চাপ কমানোর জন্য যেটা সবচেয়ে জরুরি, তা হল আবেগগত শক্তিকে মজবুত করা। সেই সঙ্গে দরকার জীবনের প্রতি ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি করা।
জীবনে চাপ কমাতে করনীয় হল:
চাপ কমানোর দাওয়া
হাল ছেড়ো না বন্ধু:
নেতিবাচক মানসিকতার থাকলে কখনও জীবনে চাপ মোকাবেলা করা যাবে না। ছোট খাট সমস্যায় মনে হবে, এই সমস্যার সমাধান আমার পক্ষে সম্ভব নয়। তাতে সমস্যা আরও বেড়ে যাবে। তাই আওয়াজ তুলুন “হাল ছেড়ো না বন্ধু বরং কণ্ঠ ছাড়ো জোরে।”
নিজ বলে বলীয়ান:
আপনার যদি মানসিক চাপজনিত সমস্যা হয়, শারীরিক কসরত মনকেও শক্তি জোগাবে। মনে হবে, হ্যাঁ, আমিই পারবো সমস্যার সঙ্গে লড়তে।
একলা চলা নয়:
সমস্যার কথা যদি অন্যের সঙ্গে আলোচনা করেন, তো সমস্যাটা এমনিই অর্ধেক ভাগ হয়ে যায়। সহকর্মী, বন্ধুবান্ধব এবং পরিবারপরিজনেরাও পাশে থেকে, বুদ্ধি-পরামর্শ দিয়ে আপনার চাপ অনেকটা কমিয়ে দিতে পারে।
[[[ ক্যারিয়ার ক্যাটালগ:
- ইন্টেরিয়র ডিজাইনে ক্যারিয়ার । ক্যারিয়ার ক্যাটালগ
- আর্কিটেক্ট পেশা । ক্যারিয়ার ক্যাটালগ
- প্লাষ্টিক সার্জন [ Plastic Surgeon ] ক্যারিয়ার গাইডলাইন
- কার্ডিয়াক সার্জন [ ক্যারিয়ার ক্যাটালগ ]
- ডেটা এনালিস্ট । ক্যারিয়ার ক্যাটালগ
- পেইন্টার পেশা [ Painter Profession ] ক্যারিয়ার ক্যাটালগ
- চার্টার্ড সেক্রেটারি । ক্যারিয়ার ক্যাটালগ
- ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট ক্যারিয়ার । ক্যারিয়ার ক্যটালগ
]]]
মেনে নিন পরিস্থিতি:
সমস্যাটা অপরিবর্তনীয় হয়, তার সমাধানের কোনও উপায় যদি হাতে না থাকে, তাহলে তাকে মেনে নেওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ। তখন যেগুলো বদলাতে পারবেন, মোকাবিলা করতে পারবেন, সেই দিকে মন দেওয়াই উচিত।
আশাবাদী হোন:
জীবনে আশাবাদী হতে পারলে অনেক সমস্যা এমনি কমে যায়। প্রতিদিন রাতে তিনটি করে বিষয় লিখুন, যেগুলো ইতিবাচক। সেই সঙ্গে লিখুন, কেন আপনি ও তিনটি বিষয়ের প্রতি কৃতজ্ঞ।
বাজে অভ্যাস ত্যাগ:
চাপ কমাতে মদ, সিগারেট বা কফির সাহায্য নেবেন না। এগুলোকে বলে ‘অ্যাভয়ডেন্স বিহেভিয়ার’। এই অভ্যাস সমস্যা তো কমবেই না, উল্টে আরও বাড়বে।
বদলে ফেলুন নিজেকে:
নিজেই কিছু লক্ষ্য তৈরি করুন, তারপর নিজেকেই চ্যালেঞ্জ করুন। যেমন ধরুন নতুন একটা ভাষা বা খেলা শিখতে শুরু করুন। এর ফলে একদিকে যেমন আত্মবিশ্বাস বাড়বে এবং অন্যদিকে যেকোনো চাপ অনেকখানি সহজ হয়ে যাবে।
বেশি কাজ নয়:
সময়টাকে ঠিকঠাক ভাবে ব্যবহার করে কাজ করা মানে কাজের পরিমাণ বাড়ানো নয়, গুণগতমান বাড়ানো। আমাদের দীর্ঘ সময় কাজ করার নীতি অনেক সময়ই আমাদের কর্মবিমুখ করে তোলে। সুতরাং কাজ এবং জীবনের মধ্যে একটা ভারসাম্য আনা জরুরি।
স্বেচ্ছাশ্রম দিন:
যারা অন্যকে কাজে সাহায্য করেন, কোথাও স্বেচ্ছাশ্রম দেন, তাঁরা অনেক সহজে চাপের মোকাবিলা করতে পারেন। আপনার থেকেও যারা খারাপ অবস্থায়, তাঁদের সাহায্য করলে একদিকে যেমন পাবেন মানসিক প্রশান্তি অন্যদিকে যে তৃপ্তি পাবেন তা জীবন শক্তি কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিবে।
নিজের জন্য সময়:
নজরুলের একটা গান আছে ‘সবার কথা কইলে এবার নিজের কথা কহো কবি’। তেমনি আমারা বাড়ী আর কাজের মধ্যে সারাটা দিন পার করে দিই। এসবের মাঝে নিজের জন্যও খানিকটা সময় দিতে হবে। এই সময়টায় করা যেতে পারে সামাজিক মেলামেশা, রিল্যাক্সেশন বা ব্যায়াম। দেয়া যেতে পারে নিজেকে কোন ট্রিট।
আরও পড়ুন:
- ক্যারিয়ার ম্যানেজমেন্ট সূচি | ক্যারিয়ার ম্যানেজমেন্ট | শামস্ বিশ্বাস
- কেরিয়ার প্রস্তুতি এই সময়ে ‘গ্রুমিং’ | ক্যারিয়ার ম্যানেজমেন্ট | শামস্ বিশ্বাস
- এগিয়ে রাখে ইন্টার্নশিপ | ক্যারিয়ার ম্যানেজমেন্ট | শামস্ বিশ্বাস
- যোগ্যতার সাথে সাথে যেভাবে বাড়াবেন দক্ষতা | ক্যারিয়ার ম্যানেজমেন্ট | শামস্ বিশ্বাস
- চাকরিপ্রার্থীরা কি করবেন, কি করবেন না | ক্যারিয়ার ম্যানেজমেন্ট | শামস্ বিশ্বাস