জীবনবৃত্তান্ত লেখা

আজকে আমাদের আলোচনার বিষয় জীবনবৃত্তান্ত লেখা

জীবনবৃত্তান্ত লেখা

 

জীবনবৃত্তান্ত লেখা

 

জীবনবৃত্তান্ত লেখা

সকল চাকরির জন্য জীবনবৃত্তান্ত আবশ্যক । চাকরির আবেদন করতে হলে অবশ্যই চাকরিদাতা প্রতিষ্ঠানে জীবনবৃত্তান্ত পাঠাতে হয়। ইংরেজিতে একে বলে কারিকুলাম ভিটাই (সিভি)। বহু জীবনবৃত্তান্তের ভিড়ে উপযুক্ত জীবনবৃত্তান্তই বেছে নেয় প্রতিষ্ঠানের মানবসম্পদ বিভাগ। সেজন্য জীবনবৃত্তান্ত হতে হয় ব্যতিক্রমধর্মী ও অভিনব ।

অনলাইনের এ যুগে ইন্টারনেটে সার্চ করলে হরেক রকম জীবনবৃত্তান্তের নমুনা বা ফরম্যাট খুঁজে পাওয়া যায় । অভিজ্ঞ কোনো চাকরিজীবী তার জীবনে কী ধরনের জীবনবৃত্তান্তের ফরম্যাট ব্যবহার করেছেন তা সংগ্রহ করতে পারলে ভালো হয় । কেননা অভিজ্ঞ ব্যক্তিদের জীবনবৃত্তান্তে অনেক দিক থাকে যেগুলো সহজে আমাদের চিন্তায় নাও আসতে পারে।

মনে রাখতে হবে, চাকরিদাতা প্রার্থীকে প্রথম পছন্দ করেন জীবনবৃত্তান্ত দেখে । নিয়োগদানকারী নিয়োগপ্রার্থীকে সাক্ষাৎকারে ডাকবেন কি ডাকবেন না তা অনেকটা নির্ভর করে জীবনবৃত্তান্তের উপর ।

জীবনবৃত্তান্ত মূলত দুই প্রকার :

১. একাডেমিক জীবনবৃত্তান্ত এবং

২. প্রফেশনাল বা পেশাদার জীবনবৃত্তান্ত ।

একাডেমিক জীবনবৃত্তান্ত সাধারণত দেশে বা বিদেশে উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আবেদনের জন্য প্রয়োজন হয় । আর প্রফেশনাল বা পেশাদার জীবনবৃত্তান্ত প্রয়োজন হয় চাকরির আবেদনের সময়ে। এখানে আমরা প্রফেশনাল জীবনবৃত্তান্ত নিয়ে আলোচনা করব ।
একটি জীবনবৃত্তান্তে যে মৌলিক বিষয়গুলো থাকে তা হলো-

১। ছবি, নাম, যোগাযোগের ঠিকানা;

২। মা-বাবার নাম, পরিচয়, পেশা,

৩। একাডেমিক ডিগ্রি, রেজাল্ট, প্রতিষ্ঠানের নাম, পাসের সাল, প্রফেশনাল কোর্সের বৃত্তান্ত (যদি থাকে);

৪। সহশিক্ষাক্রমিক কাজ ও অর্জনের বিবরণ;

৫। অভিজ্ঞতার বিবরণ (যদি থাকে) এবং

৬। দুইজন প্রত্যয়নকারীর নাম, পরিচয় এবং যোগাযোগের ঠিকানা ।

 

গুগল নিউজে আমাদের ফলো করুন
গুগল নিউজে আমাদের ফলো করুন

 

জীবনবৃত্তান্ত বেশি বড় না হওয়াই বাঞ্ছনীয় । কেননা প্রতিষ্ঠানগুলো চাকরির জন্য অনেক জীবনবৃত্তান্ত পেয়ে থাকে । জীবনবৃত্তান্ত বেশি বড় হলে প্রতিষ্ঠানের মানবসম্পদ বিভাগ তা পড়ার সময় পায় না। অনলাইনে প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইটে সিভি পাঠানো যায় কিংবা অনেক প্রতিষ্ঠান ই-মেইলে সিভি পাঠানোর কথা উল্লেখ করে থাকে ।

অনেক প্রতিষ্ঠানে চাকরির বিজ্ঞপ্তি না থাকলেও জীবনবৃত্তান্ত তাদের ওয়েবসাইটে পাঠিয়ে রাখা যায়, যেন পদ শূন্য হলেই তারা জীবন বৃত্তান্ত থেকে পছন্দের প্রার্থীকে সাক্ষাৎকারের জন্য আহ্বান জানাতে পারে।

আদর্শ জীবনবৃত্তান্তের বৈশিষ্ট্য :

১। সকল তথ্য স্পষ্ট করে দেওয়া থাকবে;

২। কোনো প্রকার বানান ভুল থাকবে না;

৩। কোনো বিষয় নিয়ে সংশয় থাকবে না;

৪ । যথাসম্ভব সংক্ষিপ্ত হবে;

৫। অল্প কথায় শিক্ষাগত জীবনের সব অর্জনের কথা বলা থাকবে;

 

জীবনবৃত্তান্ত লেখা

 

৬। অর্জিত দক্ষতাগুলোর কথা উল্লেখ থাকবে এবং

৭। ভাষার ব্যবহার হবে সাবলীল।

আরও দেখুন : 

Leave a Comment