আজকে আমাদের আলোচনার বিষয় অসম্ভব হলো সম্ভব
অসম্ভব হলো সম্ভব
অসম্ভব হলো সম্ভব
সেই প্রাচীনকাল থেকেই মানুষ ভাবছে- আহা এমন কিছু যদি বানানো যেত যা আমাদের কথা শুনত, বিপজ্জনক কাজগুলো যদি করে দিত! এমন অনেক কাজ আছে যা আমাদের পক্ষে করা কঠিন বা অসম্ভব। এ রকম কাজ করে দেওয়ার জন্যই মানুষ রোবট আবিষ্কার করেছে। আচ্ছা, তোমরা তো জানো রোবট কী- তাই না? রোবট হলো ‘যন্ত্রমানব’। কলকবজা দিয়ে তৈরি বা নিজে থেকে কোনো কাজ করতে পারে না।
বিভিন্ন ধানের রোগট
এসব চিত্র দেখে তোমার কী মনে হচ্ছে রোবট তৈরি করা সহজ নয়? কিন্তু আমরা যদি চাই তাহলে অবশ্যই আমরা রোবট বানাতে পারব। সেজন্য আমাদের অনেক লেখাপড়া করতে হবে এবং যথাযথ প্রস্তুতি গ্রহণ করতে
হবে।
আচ্ছা তোমরা কি জানো, কখন কীভাবে রোবটের ধারণা এসেছে? রোবট নিয়ে প্রথম ভাবনা চিন্তা করেছিলেন, মহাপণ্ডিত এরিস্টটল। ৩২০ খ্রিস্টপূর্বে তিনিই প্রথম এ ধারণার কথা মানুষকে শোনান। তখনকার দিনে সমাজে ‘দাসপ্রথা ছিল। অনেককেই দাস-দাসী হিসেবে মনিবের সেবা করতে হতো, করতে হতো নানা কাজ। তাদের খুব কষ্ট করতে হতো। তা দেখে এরিস্টটলের মনে খুব দুঃখ হলো। তিনি ভাবলেন, আহা এমন যন্ত্র যদি বানাতে পারতাম যাকে আদেশ দিলেই তা ঠিক ঠিক কাজ করে ফেলতে পারবে।

এরিস্টটলের পর বহুদিন রোবট নিয়ে তেমন কোনো কাজ হয়নি। আসলে তখনকার দিনে তো এমন উন্নত প্রযুক্তি ছিল না। তাই মানুষ রোবট বানাতে পারেনি। এরিস্টটলের এই ভাবনার বহুদিন পরে রোবট বানানোর চেষ্টা করেছিলেন আরেকজন প্রতিভাধর মানুষ যাঁর নাম লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চি। লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চি একজন অসাধারণ মেধাশ্রমিক। আধুনিক বিজ্ঞানের অসংখ্য আবিষ্কারের পরিকল্পনা করেছিলেন তিনি।
তার অনেক পরিকল্পনার মতো রোবট বানানোর পরিকল্পনাও তখন প্রযুক্তিগত সীমাবদ্ধতার কারণে বাস্তবায়ন করা যায়নি।
এরপর ১৭০০-১৯০০ সালের মধ্যে মানুষ অনেক ছোটখাটো রোবট বানানোর চেষ্টা করেছে। অনেকে ৰেশ সফল হয়েছিলেন। এ সকল মানুষের মধ্যে অন্যতম ছিলেন জ্যাক দ্য ডকেনসন। তিনি একটা রোবট হাঁস বানিয়েছিলেন যেটা গলা বাড়াতে পারত, পাখা নাড়াতে পারত ।
১৯১৩ সালে হেনরি ফোর্ড তার গাড়ি তৈরির কারখানায় সর্বপ্রথম কোনো স্বয়ংক্রিয় যন্ত্রকে কাচ্ছে লাগিয়েছিলেন। স্বয়ংক্রিয় যন্ত্রকে রোবট বলা শুরু হলো ১৯২০ সালের দিকে। রোবট শব্দটির প্রচলন করেন নাট্যকার ক্যারেল কাপেক। সেই শুরু। তৈরি হলো একের পর এক রোবট। কোনো রোবট করে খনির কাজ, কোনোটি করে ঘর পরিষ্কার, কোনো কোনো রোবট কাজ করে কারখানায়। আবার কোনো রোবটকে পাঠানো হয় মহাশূন্যে ।
আজকাল এমন অনেক রোবট তৈরি হচ্ছে যারা মানুষের মতো কথা বলতে পারে, নাচতে পারে এমনকি এদিক-ওদিক তাকিয়ে দেখতে পারে ।
করার পড়ি তৈরি করছে রোবট
রোবট বানানো মেধাশ্রমের উদাহরণ । রোবট বানাতে হলে অনেক কিছু পড়তে হয়, জানতে হয়, অনেক কৌশল শিখতে হয় । সাথে প্রয়োজন বুদ্ধি, নিত্যনতুন চিন্তা করার ক্ষমতা, মাথা খাটানো এবং প্রয়োজনীয় উপকরণ। ভেবে দেখ দেখি, কেমন হবে যদি বন্ধুরা মিলে একটা রোবট বানিয়ে ফেলা যায়।
আরও দেখুন :