আজকে আমাদের আলোচনার বিষয় আমার যোগ্যতা ও দক্ষতা
Table of Contents
আমার যোগ্যতা ও দক্ষতা
আমার যোগ্যতা ও দক্ষতা
এসো দেখি এমন কিছু যোগ্যতা ও দক্ষতা যা কর্মক্ষেত্রে প্রবেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ
- লেখার মধ্য দিয়ে সঠিকভাবে যোগাযোগ স্থাপন
- মৌখিক যোগাযোগ
- দলে কাজের যোগ্যতা
- আত্মসচেতনতা
- সংখ্যা জ্ঞান বা গাণিতিক দক্ষতা
- সমস্যা সমাধান বা অনুসন্ধান ও বিশ্লেষণ
- নেতৃত্ব
- তাড়না, প্রেরণা, সক্রিয়তা
- নমনীয়তা
- পেশাদারি মনোভাব
- ব্যবসায়িক সচেতনতা
- হিসাব-নিকাশ
- পরিকল্পনা ও সংগঠিত করা
- সময়নিষ্ঠা
এই যোগ্যতা ও দক্ষতার কয়েকটি নিচে বর্ণনা করা হলো:
যোগাযোগ
যোগাযোগ বলতে আমরা বুঝি স্পষ্টভাবে বলা, শোনা, বোঝা এবং লেখা। বিভিন্ন ধরনের পাঠক অনুযায়ী সঠিকভাবে লিখে উপস্থাপন করা, অন্যকে প্রভাবিত করা, মধ্যস্থতা করা, সহমর্মিতা প্রকাশ করা । এছাড়া সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে বিভিন্ন মানুষের সাথে সম্পর্ক স্থাপন ক্ষমতা, তথ্য আদান-প্রদান, ধারণা উপস্থাপন করার যোগ্যতা, সাবলীলভাবে কথা বলার দক্ষতা, যৌক্তিকভাবে তথ্যের সারাংশ উপস্থাপনার ক্ষমতা ইত্যাদি ।
দলে কাজ করা
দলে কাজ করা বলতে বোঝায় বয়স, নারী-পুরুষ, ধর্ম, বর্ণ, রাজনৈতিক মতাদর্শ নির্বিশেষে বিভিন্ন মানুষের সাথে একত্রে কাজ করা। দলের সদস্যদের ভালো গুণ সম্পর্কে ধারণা থাকা, নিজের গুণাবলি ও সীমাবদ্ধতা সম্পর্কে সচেতন থাকা, দলের লক্ষ্যকে সুষ্ঠুভাবে তুলে ধরা এবং একমত হয়ে কাজ করা এর অন্যতম বৈশিষ্ট্য ।
দলে কাজ করার আরও যে বৈশিষ্ট্য রয়েছে সেগুলো হলো নেতৃত্ব দেওয়া, অন্যদের পরামর্শ দেওয়া, অনুপ্রেরণা জোগানো, বিভিন্ন মতামতকে শ্রদ্ধা করে একটি সিদ্ধান্তে পৌঁছানো, সাফল্য অর্জনে দলগতভাবে অংশগ্রহণ ইত্যাদি ।
সমস্যা সমাধান
আমাদের জীবনে সব সময়ই কোনো না কোনো সমস্যা সমাধান করতে হয়। যে ব্যক্তি সমস্যা সমাধানে যত পরিকল্পিত ও বিজ্ঞানভিত্তিক সে তত বেশি সফল হয়। নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করে যে কোনো সমস্যার সমাধান করতে পারলে সাফল্য লাভ সম্ভব ।
- তথ্য ও উপাত্ত বিশ্লেষণ
- অনুমান পরীক্ষা বা যাচাই করা
- সমস্যাকে চিহ্নিত এবং এর পেছনের কারণ খুঁজে বের করা
- সৃজনশীল, উদ্ভাবনী ও কার্যকর সমাধান খুঁজে বের করা
- সমস্যা সমাধানের বিভিন্ন পন্থা কাজে লাগানো
- বিকল্প পরিকল্পনা রাখা
- বিভিন্ন গাণিতিক জ্ঞান ও দক্ষতা ব্যবহার করে সমস্যা সমাধান করা

কর্মক্ষেত্রে মূল্যবোধ
সাবিহা একটি ওষুধ কোম্পানিতে চাকরি করেন । একটি নতুন ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ও অন্য ফলাফলসহ একটি রিপোর্ট এসেছে। এ বিষয়ে সকল তথ্য-উপাত্ত একটি সেমিনারে উপস্থাপন করা তার দায়িত্ব । হঠাৎ তার তত্ত্বাবধায়ক তাকে একটি নোট পাঠালেন । তাতে লেখা সে যেন একটি নির্দিষ্ট পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া উল্লেখ না করে তা উপস্থাপন করেন। সাবিহা চিন্তায় পড়ে গেলেন । এটা কি তার করা উচিত ?
তোমরা দলে বসে চিন্তা কর-
১. সাবিহার সামনে কী কী পথ রয়েছে?
২. প্রতিটি সিদ্ধান্তের সুবিধা ও অসুবিধা অর্থাৎ ফলাফল আলোচনা করো।
উপরের ঘটনাটির মতো কর্মক্ষেত্রে অনেক পরিস্থিতির উদ্ভব হয় । যখন আমাদের সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রয়োজন হয়, কী করা উচিত কী করা উচিত নয় তা আমরা ভাবি। এই উচিত বিষয়টিই মূল্যবোধ। তোমরা যখন আলোচনা করে সিদ্ধান্ত গ্রহণের কথা বলেছ তখনো নিশ্চয়ই খেয়াল করেছ যে এই মূল্যবোধ ব্যক্তিতে ব্যক্তিতে ভিন্ন হতে পারে । আবার কিছু কিছু কর্মক্ষেত্রে মূল্যবোধ সংক্রান্ত শর্ত দেওয়া থাকে যা সবাই মেনে চলবে বলে আশা করা হয় । কাঙ্ক্ষিত মূল্যবোধের সাথে আত্মনিয়ন্ত্রণ অর্জিত হয় । যেমন –
১. এমন কাজ করা থেকে বিরত থাকা যেটি আমি করতে চাই ।
২. এমন কাজ করা থেকে বিরত থাকা যেটি করার অধিকার আমার রয়েছে।
[যেমন আমি বড় প্রতিষ্ঠানে কাজ করতে চাই কিন্তু এজন্য অনৈতিক কিছু করতে হলে আমি ঐ প্রতিষ্ঠানে কাজ করব না]
এমন আরও কয়েকটি উদাহরণ খুঁজে বের করো। মূল্যবোধের সাথে আরও কিছু বিষয় জড়িত । যেমন- বিশ্বাস, সততা, নিষ্ঠা, আনুগত্য ইত্যাদি ।
আমার স্বপ্নের ক্যারিয়ার
ছোট দলে ভাগ হয়ে প্রতিটি দল একজন করে ব্যক্তি চিহ্নিত করো (পরিচিত, আত্মীয়, বন্ধু,) যারা তাদের স্বপ্নের ক্যারিয়ার গঠন করতে পেরেছে বলে মনে করো। তাদের সাক্ষাৎকার নাও এবং একটি ছোট ম্যাগাজিন তৈরি করো (হাতে তৈরি) । মলাটে তার ছবি ও একটি চমৎকার শিরোনাম দাও। ভিতরে তার ছবিসহ বিভিন্ন তথ্য উপস্থাপন কর ।
তার স্বপ্ন, শিক্ষাজীবন, আগ্রহ, মূল্যবোধ, বিশেষ যোগ্যতা, চাকরিজীবন, অভিজ্ঞতা ইত্যাদি বিষয়ে তথ্য দিয়ে ম্যাগাজিনটি সাজাও। এক্ষেত্রে সৃজনশীলতা ও শৈল্পিক দৃষ্টিভঙ্গির ব্যবহারের চেষ্টা করো। পৃষ্ঠাগুলো স্টেপলার, স্কচটেপ বা আঠা দিয়ে এক সঙ্গে জুড়ে দাও । প্রয়োজন মতো রঙ করো ।
আরও দেখুন :