আজকে আমাদের আলোচনার বিষয় নিজের কাজ নিজে করার সুবিধা ও না করার অসুবিধা
নিজের কাজ নিজে করার সুবিধা ও না করার অসুবিধা
নিজের কাজ নিজে করার অনেক সুবিধা রয়েছে । নিজের কাজ নিজে করলে কাজটি নিজের মতো করে করা সম্ভব হয় । কারণ তোমার কাজ তুমি কীভাবে করবে সেটি তোমার চেয়ে আর কেউ ভালো বুঝবে না । তাছাড়া নিজের কাজ নিজে করলে কাজ করার দক্ষতা বৃদ্ধি পায় এবং অন্যের উপর নির্ভর করে থাকতে হয় না। অন্যদিকে নিজের কাজ নিজে না করলে অনেক ধরনের অসুবিধার মুখোমুখি হতে হয় এবং বিভিন্ন সমস্যা তৈরি হয় ।
যেমন, আত্মবিশ্বাস কমে যাওয়া, অন্যের কাজ পছন্দ না হওয়া, অন্যের উপর নির্ভরশীলতা বেড়ে যাওয়া ও আর্থিক ক্ষতিসহ নানান রকমের সমস্যার মুখোমুখি হওয়া । তোমরা নিচের টেবিলে নিজের কাজ নিজে করার সুবিধা ও নিজের কাজ নিজে না করার অসুবিধাগুলো লেখ । তোমাদের বোঝার সুবিধার জন্য দুইটি করে সুবিধা ও অসুবিধা লেখা আছে ।
প্রসঙ্গ-কথা
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশকে নিরক্ষরতামুক্ত করার প্রত্যয় ঘোষণা করে ২০০৯ সালে প্রত্যেক শিক্ষার্থীর হাতে বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক তুলে দেওয়ার নির্দেশনা প্রদান করেন। তাঁরই নির্দেশনা মোতাবেক ২০১০ সাল থেকে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ শুরু করে। তারই ধারাবাহিকতায় উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে ভিশন ২০৪১ সামনে রেখে পাঠ্যপুস্তকটি সময়োপযোগী করে পরিমার্জন করা হয়েছে।

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির অভূতপূর্ব উন্নয়নের ফলে এই শতাব্দীর শিক্ষার্থীরা প্রতিনিয়ত একটি পরিবর্তনশীল বিশ্বের সম্মুখীন হচ্ছে। এই নতুন পরিস্থিতিতে জাতীয় শিক্ষানীতি ২০১০ এর নির্দেশনা অনুসারে কর্ম ও জীবনমুখী শিক্ষা বিষয়টি শিক্ষাক্রম কাঠামোতে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। কর্ম ও পেশার প্রতি আগ্রহ সৃষ্টি, বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ তৈরি এবং শিক্ষার্থীদের আগ্রহ ও প্রবণতা অনুযায়ী ভবিষ্যৎ শিক্ষার ধারা নির্ধারণে সক্ষম করে তোলার বিষয়টি গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করে পাঠ্যপুস্তকটি প্রণয়ন করা হয়েছে।
আশা করা যায় ভবিষ্যৎ শিক্ষা ও পেশাগত জীবনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সহযোগিতামূলক মনোভাবসম্পন্ন, নেতৃত্ব প্রদানে সক্ষম ও আত্মবিশ্বাসী একটি নতুন প্রজন্ম গঠনে নব প্রবর্তিত এ বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে ।
বানানের ক্ষেত্রে অনুসৃত হয়েছে বাংলা একাডেমি কর্তৃক প্রণীত বানানরীতি। পাঠ্যপুস্তকটি রচনা, সম্পাদনা, চিত্রাঙ্কন, নমুনা প্রশ্নাদি প্রণয়ন ও প্রকাশনার কাজে যারা আন্তরিকভাবে মেধা ও শ্রম দিয়েছেন তাঁদের ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি।
আরও দেখুন :