দৃঢ় প্রত্যয়: গুরুত্ব ও কৌশল আমাদের আজকের আলোচনার বিষয়। এই পাঠটি “বাউবি এসএসসি ২৩৫৮ ক্যারিয়ার শিক্ষা” এর “ক্যারিয়ার গঠনের উপাদান ও কৌশল” ইউনিট ২ এর অন্তর্ভুক্ত।
Table of Contents
দৃঢ় প্রত্যয়: গুরুত্ব ও কৌশল
ক্যারিয়ার গঠনে প্রয়োজন লক্ষ্য অনুযায়ী ব্যক্তির অবিরত প্রচেষ্টা। এজন্য ব্যক্তিকে দৃঢ় প্রত্যয়ী হওয়া দরকার । দৃঢ় প্রত্যয় না হলে লক্ষ্য অর্জন সম্ভব হয় না। এই পাঠে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্তির ক্যারিয়ার গঠনে কীভাবে সহায়তা করে সে বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।
ক. দৃঢ় প্রত্যয়ের ধারণা
শিক্ষার্থী বন্ধুরা, আপনারা কী দু’ একজন দৃঢ় প্রত্যয়ী ব্যক্তির নাম বলতে পারবেন, যার কথা ও কাজের মধ্যে মিল ছিল। তাহলে দৃঢ় প্রত্যয়ী কী ? ব্যক্তির মধ্যে কোন কোন বৈশিষ্ট্য থাকলে তাকে দৃঢ় প্রত্যয়ী ব্যক্তি বলা যাবে? এমন অন্তত ৬টি বৈশিষ্ট্যের কথা নিচের ছকে উল্লেখ করুন।
উদাহরণ হিসেবে আপনাদের জন্য একটি প্রদত্ত হলো:
এবার আপনাদের দেয়া বৈশিষ্ট্যের আলোকে নিজেরা দলগতভাবে দৃঢ় প্রত্যয়ের একটি সংজ্ঞা তৈরি করুন। দৃঢ় প্রত্যয় হলো———
খ.ক্যারিয়ার গঠনে দৃঢ় প্রত্যয়ী হওয়ার গুরুত্ব
প্রতিটি মানুষের জীবনে তার কথার সাথে কাজের মিল থাকা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। যে মানুষের কথার সাথে কাজের মিল পাওয়া যায় না তাদেরকে মানুষ পছন্দ করে না। যারা কাজের প্রতি দৃঢ় প্রতিশ্রুতিব্ধ তারা জীবনে সফল হবে। ব্যক্তিগত জীবনে যারা দৃঢ় প্রত্যয়ী তারা সব সময় তাদের স্বপ্ন পুরণ করে থাকেন।
উদাহরণ হিসেবে আমরা ব্র্যাকের প্রতিষ্ঠাতা ড. ফজলে হাসান আবেদকে দৃঢ় প্রত্যয়ী মনোভাবের দৃষ্টান্ত হিসাবে আনতে পারি। এতে দৃঢ় প্রত্যয়ের ধারণা ও গুরুত্ব আপনারা আরো ভালভাবে উপলব্ধি করতে পারবেন। ব্যক্তি যখন তার লক্ষ্য স্থির করে বা সুনির্দিষ্ট করে এবং উক্ত লক্ষ্যের ভালো মন্দ জেনে সচেতনভাবে তীব্র বাসনা নিয়ে নিজে নিজে এগিয়ে যায় তখন তাকে কেউ দাবিয়ে রাখতে পারে না। ফলে ব্যক্তির সফলতা অনিবার্য হয়ে পড়ে। অর্থাৎ সে সফল হয়।
গ. ক্যারিয়ার গঠনে দৃঢ় প্রত্যয়ী হওয়ার কৌশল
যারা জ্বী হুজুর টাইপ লোক তারা কখনই দৃঢ় প্রত্যয়ী নন। এখানে জ্বী হুজুর কথাটার অর্থ হলো তোষামোদকারী বা মোসাহেব। যারা নিজের অবস্থা ঠিক রাখতে পারেন না, তাদেরকে মানুষ ব্যক্তিত্বহীন বলে। ব্যক্তিত্বহীন বা তুলনামূলকভাবে কম ব্যক্তিত্বসম্পন লোককে অধীনস্থরা বা সহকর্মীরা পছন্দ করে না। সে জন্য চাকুরীতে বা স্বপেশায় দৃঢ় প্রত্যয়ী হতে হয়। আত্মপ্রত্যয়ী মানুষ শ্রদ্ধাবান হন। কর্তৃপক্ষ, সহকর্মীগণ তাদেরকে প্রতিষ্ঠানের সকল বিষয়ে অত্যন্ত গুরুত্ব দেন। দৃঢ় প্রত্যয় বংশগতভাবে প্রাপ্ত কোন গুণ নয়, এটি অর্জন করতে হয়। শিক্ষার্থী বন্ধুরা, তাহলে আসুন আমরা জোড়ায় চিন্তা করে দৃঢ় প্রত্যয়ী হওয়ার ৫টি কৌশল খুঁজে বের করি।

সারসংক্ষেপ
দৃঢ় প্রত্যয় হলো নিজের যুক্তিসংগত মত প্রতিষ্ঠায় অটল থাকতে পারা। জীবনে প্রতিষ্ঠা লাভের ক্ষেত্রে দৃঢ়তার সাথে নিজের মতামতকে যুক্তিযুক্তভাবে প্রতিষ্ঠা করা এবং অন্যকে প্রভাবিত করার ক্ষমতাকে দৃঢ় প্রত্যয় বলে। দৃঢ় প্রত্যয় না থাকলে লক্ষ্যে উপনীত হওয়া কঠিন। অন্যদিকে দৃঢ় প্রত্যয়ীরা যে কোন উপায়ে শেষ পর্যন্ত লক্ষ্যে পৌঁছাতে সক্ষম হয়। তাই ক্যারিয়ার গঠনে প্রত্যেককে দৃঢ় প্রত্যয়ী হওয়া প্রয়োজন ।
আরও পড়ুন….