আজকে আমাদের আলোচনার বিষয় চাকা আবিষ্কার
চাকা আবিষ্কার
চাকা আবিষ্কার
ইট্সক্যান সভ্যতার লোকদের বানানো রথের চাকা (৫৩০ খ্রি.পূ.)
অনেক অনেক আগে মানুষ একা একা বসবাস করত । একসময় তারা বুঝতে পারল একা একা বাস করা খুব কঠিন। সব কাজ নিজেকেই করতে হয় । এছাড়া বন্যপ্রাণীর আক্রমণের ভয় তো আছেই । তাই তারা আস্তে আস্তে দলবদ্ধ হয়ে বসবাস শুরু করল। ভবঘুরে মানুষ হলো সমাজবদ্ধ, সামাজিক জীব । সমাজে বসবাসের প্রয়োজনে মানুষকে অনেক কিছু করতে হতো । অনেক ভারি দ্রব্য এক স্থান হতে অন্য স্থানে নিয়ে যেতে হতো ।
যেমন- বাড়িঘর, রাস্তাঘাট, উপাসনালয় ইত্যাদি তৈরির জন্য বড় বড় পাথর খণ্ড । বলতে পার এসব পাথর মানুষ কীভাবে বহন করত? প্রথম প্রথম এসব বড় পাথর-খণ্ড ও অন্যান্য জিনিস মানুষ নিজেদের কাঁধে মাথায়ও বহন করত । কিন্তু এতে অনেক শারীরিক সমস্যা হতো । তখন তারা ভারি বস্তুগুলো গাছের গুঁড়ির উপর দিয়ে গড়িয়ে নেওয়ার কৌশল বের করল । এভাবে অনেক দিন চলল । বড় বড় ইমারত, পিরামিড ইত্যাদি তৈরির জন্য বিশাল বিশাল পাথর তারা এভাবে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় নিয়ে যেত।

কিন্তু এতে অনেক সময় লাগত । অনেক গাছ কাটতে হতো । তাই তারা গাছের গুঁড়ির আকৃতির কোনো কিছু বানানোর চেষ্টা করল ।
এভাবে মানুষ আজ থেকে প্রায় ৫৬০০ বছর পূর্বে চাকা আবিষ্কার করেছিল । সাথে সাথে তারা চাকা ব্যবহার করে বিভিন্ন ধরনের যানবাহনও তৈরি করেছিল । প্রাচীনকালে তো আজকের মতো আধুনিক যানবাহন ছিল না, তখনকার প্রচলিত বাহন ছিল রথ । মানুষের এই চাকা আবিষ্কার এবং তা নিজের কাজে লাগানো কঠোর মেধাশ্রমের এক জ্বলন্ত উদাহরণ ।
কালক্রমে অনেক উন্নত ধরনের ঢাকা আবিষ্কৃত হয়েছে, যা আমরা নিচের ছবিতে দেখতে পাচ্ছি ।
মানুষ যখন বুঝল যে ভারি বোঝা বয়ে নিতে কষ্ট হচ্ছে, সে আবিষ্কার করল নতুন কিছু যা তার সমস্যা দূর করবে। যে প্রক্রিয়ার মানুষ এটা করল তা আসলে মেধাশ্রম। সাথে অবশ্য কারিকশ্রমও আছে। চাকা আবিষ্কার করার জন্য আবিষ্কারকদের নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে হয়েছে। হবে নাকি আবিষ্কারক? কেউ বড় হয়ে হতে চায় ডাক্তার, কেউবা শিক্ষক, কেউবা ইঞ্জিনিয়ার। তুমি কী হতে চাও? ভেবে দেখো দেখি- একজন আবিষ্কারক হলে কেমন হয়!
আরও দেখুন :