দায়িত্ব নিতে শিখুন | Soft Skill Series

দায়িত্ব নিতে শিখুন আজকের আলোচনার বিষয়। Taking Responsibility [ দায়িত্ব নিতে শিখুন ] বিষয়টি পেশাদারী জীবনের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আমারা অনেকেই জানিনা শুধুমাত্র দায়িত্ব নেবার অক্ষমতার কারণে আমরা জীবনে অনেক সুযোগ হারাই। অথচ পেশাদারী জীবনে ভালো করতে হলে দায়িত্ব নেবার কোন বিকল্প নেই। মানুষ তার উপরেই ভরসা করে, যিনি দায়িত্ববান। দায়িত্ব এড়িয়ে চলা মানুষকে কখনো কেও বড় কোন কাজের দায়িত্ব দিয়ে নিশ্চিত বোধ করে না। সেজন্য দায়িত্ব নিতে না শিখলে জীবনে বড় কোন দায়িত্ব পাবার সম্ভাবনা নেই, খুব বড় কিছু করার সম্ভাবনা নেই।

 

দায়িত্ব নিতে শিখুন

মানুষের দায়িত্ব ও কর্তব্যের পরিধি অনেক বিস্তৃত। মানুষ একে অপরের সাথে মিলেমিশে শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করবে। সে খেয়ালখুশি অনুযায়ী চলতে পারে না। সমাজের সবার সুবিধার্থে ব্যক্তিস্বার্থ ত্যাগ করে কর্তব্যনিষ্ঠ হতে হয়। সমাজের অর্থ-বিত্তশালী ব্যক্তিও কাজকর্ম ছাড়া অলসভাবে জীবন অতিবাহিত করতে পছন্দ করে না। ব্যক্তি, পরিবার ও সমাজজীবনে সব মানুষের প্রতি পারস্পরিক দায়িত্ব ও কর্তব্য রয়েছে আমাদের। তাই আল্লাহর নির্দেশ অনুযায়ী মানুষকে দায়িত্বশীল ও কর্তব্যপরায়ণ হতে হবে। ঈমানদারের প্রতিটি কর্তব্যই ইবাদত, যদি তা কল্যাণকর ও নিঃস্বার্থ হয়। নবীজী সা: যথাযথই বলেছেন, ‘কর্মের ফল নিয়তের ওপর নির্ভরশীল’। (বুখারি)

ক্যারিয়ারের সফলতায় সম্পর্ক স্থাপন

ইসলামে আত্মীয়-স্বজন, পাড়া-প্রতিবেশী, বয়োজ্যেষ্ঠ ও বয়ঃকনিষ্ঠ সবার প্রতি পারস্পরিক দায়িত্ববোধকে বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। জীবনের সর্বক্ষেত্রে সবসময় পিতা-মাতার আদেশ-নিষেধ মান্য করা এবং তাদের সাথে সৌজন্যময় আচরণ করা মানুষের একান্ত কর্তব্য। এ ছাড়াও সন্তান-স্ত্রী-পরিজনের প্রতি বিশেষ কর্তব্য রয়েছে। পিতা-মাতার প্রতি অবহেলা ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ। তাদের সেবা করার জন্য পবিত্র কুরআনে বর্ণিত রয়েছে- ‘তোমরা পিতা-মাতার সাথে সদ্ব্যবহার করবে।’ (সূরা নিসা-৩৬)

 

আমাদের গুগল নিউজে ফলো করুন
আমাদের গুগল নিউজে ফলো করুন

আত্মীয়-স্বজনের প্রতি দায়িত্ব পালনের বিশেষ দিকনির্দেশনাও ইসলামে রয়েছে। রাসূল সা: হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, ‘যে ব্যক্তির প্রতিবেশী তার অত্যাচার ও অন্যায় আচরণ থেকে রক্ষা পায় না, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে না।’ (মুসলিম) শুধু তাই নয়, সহকর্মী, বন্ধু-বান্ধব ও সহপাঠীদের সাথে কোনো রকম অপ্রীতিকর কর্মকাণ্ড ও দ্বন্দ্ব-কলহ করা যাবে না। সর্বদা ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের সাথে মিলেমিশে থাকতে হবে।

তাদের সাথে কোমল আচরণ করতে হবে, এমনকি তাদের উপাস্যদের নিয়ে ঠাট্টা-বিদ্রুপ করতে নিষেধ করা হয়েছে ইসলামে। শিক্ষার্থী বন্ধুদের বই, খাতা, কলম, পেন্সিল না থাকলে এগুলো দিয়ে তাকে সাহায্য করা কর্তব্য। পিতা-মাতা যেমন সন্তানের লালন-পালন করেন, তেমনি শিক্ষকরাও ছাত্রছাত্রীদের প্রকৃত মানুষরূপে গড়ে তোলেন, তাই শিক্ষকদের যথাযথ শ্রদ্ধা করা, তাদের আদেশ-নিষেধ মেনে চলা উচিত।

 

দায়িত্ব নিতে শিখুন

 

দায়িত্ব নিতে শিখুন নিয়ে বিস্তারিত :

 

আরও দেখুন :

Leave a Comment