ক্যারিয়ার গঠনে প্রযুক্তির গুরুত্ব ও প্রযুক্তিগত দক্ষতা গঠনের উপায়

ক্যারিয়ার গঠনে প্রযুক্তির গুরুত্ব ও প্রযুক্তিগত দক্ষতা গঠনের উপায় আমাদের আজকের আলোচনার বিষয়। এই পাঠটি “বাউবি এসএসসি ২৩৫৮ ক্যারিয়ার শিক্ষা” এর  “ক্যারিয়ার গঠনে সংযোগ স্থাপন ও আচরণ” ইউনিট ৩ এর অন্তর্ভুক্ত।

 

ক্যারিয়ার গঠনে প্রযুক্তির গুরুত্ব ও প্রযুক্তিগত দক্ষতা গঠনের উপায়

সৃষ্টির শুরু থেকেই মানুষ বুদ্ধিমান প্রাণী হিসেবে জগতের কাছে পরিচিত হয়। কিন্তু মানুষ তখন ছিল সহায় স্বম্বলহীন, কোন জ্ঞান ছিল না। ধীরে ধীরে প্রয়োজনের তাগিদে বুদ্ধির প্রয়োগ করে সে জানার চেষ্টা করে এবং স্বাবলম্বী হওয়ার প্রচেষ্টা চালায়। দৈনন্দিন জীবনে নানা ধরনের প্রতিকুলতার মোকাবেলা করে চলতে চলতে জ্ঞানের বিচিত্র পথে সে এগিয়ে চলে। যেমন, আত্মরক্ষা কী করে করতে হয়, কোথায় ও কীভাবে খাদ্যের সন্ধান পাওয়া যাবে, প্রাকৃতিক প্রতিকুল পরিবেশ থেকে রক্ষা পেতে কী করতে হবে ইত্যাদি সম্মন্ধে সে নিজের চেষ্টাতেই জ্ঞান অর্জন করেছে।

বেঁচে থাকার জন্য নানারকম হাতিয়ার ও উপাদান বা সাহায্যকারী যন্ত্র নির্মাণ করেছে। এভাবে একদিকে সে যেমন আত্মরক্ষার জন্য সুসংবদ্ধ দল বা সমাজ গঠন করেছে, অন্যদিকে জীবন যাত্রা নির্বাহের জন্য প্রয়োজনীয় উপাদান নির্মাণে সচেষ্ট হয়েছে। মানব জীবনে প্রযুক্তির বিকাশ এখান থেকেই শুরু হয়েছে। সেইথেকে মানুষ তার প্রয়োজনীয় উপাদান, ঘরবাড়ি, পোশাক, বস্তুসামগ্রী সবকিছুতে প্রলেপ লাগিয়ে নতুন নতুন উদ্ভাবন করে সেগুলোকে আধুনিক থেকে আধুনিকতর করেছে এবং ক্রমে জীবনযাত্রা প্রণালী সহজ করে তুলেছে।

কাজ – এক

নিচের এ কাজটি করলে আপনি প্রতি দিন আমরা কতবার প্রযুক্তি নির্ভর কাজ করি এবং দৈনন্দিন জীবনে কতভাবে প্রযুক্তির উপর নির্ভরশীল তা অনুধাবন করতে পারবেন । ফারিয়া মাধ্যমিক স্কুলে গণিত বিষয়ের একজন শিক্ষক। শুক্রবার ছাড়া সপ্তাহের ছয়দিনই তাকে ৭:১৫টার মধ্যে স্কুলে পৌঁছতে হয়। তার স্কুল বাড়ির কাছেই। হেঁটে যেতে খুব বেশি হলে ১৫ মিনিট সময় লাগে। সেদিন ছিল সোমবার। ঘড়ির ক্রিং ক্রিং শব্দে ফারিয়ার ঘুম ভাঙল। চোখটা একটু ডলে নিয়ে ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখল ৬:০০টা বেজে গেছে। গতকাল রাত ২:০০টা পর্যন্ত জেগে কম্পিউটারে কাজ করেছে, সে জন্য আজ উঠতে দেরী হয়ে গেল।

খুব চটপট বিছানা ছেড়ে উঠে পড়ল সে। মুখ হাত ধুয়ে নিয়েই রান্না ঘরের দিকে পা বাড়াল। গ্যাসচুলোটা জ্বালিয়ে দিল। কাল রাতে রুটি তরকারী করাই আছে। এখন শুধু রুটিগুলো গরম তাওয়ায় সেঁকে নিয়ে তরকারীটা মাইক্রোওভেনে গরম করে নিল। ৬:৩০টার মধ্যে নাসতা করা শেষ হলে ফারিয়া গোসল করবে বলে বাথরুমে ঢুকে পড়ল। ঘুম থেকে উঠেই সে গিইজার চালিয়ে দিয়েছিল তাই এখন গরম পানি পেল। বাথরুম থেকে বেরুতেই ফারিয়ার মোবাইল ফোনটি বেজে উঠলো। ফোনে কিছু কথা সেরে নিয়ে খুব দ্রুত বাইরে যাওয়ার পোশাক পরে ফারিয়া তৈরি হয়ে গেল ।

নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর দিন:

১। গল্পটির সমগ্র অংশে ফারিয়া কোন কোন ক্ষেত্রে প্রযুক্তি ব্যবহার করেছে?

২। প্রযুক্তির ব্যবহার তাকে কী ধরনের সুবিধা দিয়েছে?

৩। আপনার দৈনন্দিন জীবনে কোন কোন ক্ষেত্রে আপনি প্রযুক্তির উপর নির্ভরশীল লিখুন।

প্রযুক্তি কী?

প্রযুক্তি হল জ্ঞানার্জনের মাধ্যম। বিজ্ঞানের জ্ঞানকে ব্যবহার করে মানুষ নতুন নতুন যে পথ ও দ্রব্য-সামগ্রী উদ্ভাবন করে তাকেই প্রযুক্তি বলা যায়। দৈনন্দিন জীবনকে সহজ পথে পরিচালিত করার জন্য মানুষ নিত্যনতুন প্রযুক্তি সৃষ্টি করে। এর ফলে সে একদিকে যেমন অর্জিত জ্ঞানের ব্যবহার করে অন্যদিকে নতুন দ্রব্য আবিষ্কার করতে গিয়ে নতুন জ্ঞান অর্জন করে। অন্যকথায় আমরা বলতে পারি প্রযুক্তি হল মানুষের জ্ঞান। এই জ্ঞান প্রয়োগ করে সে নতুন নতুন কর্মপন্থা, আধুনিক যন্ত্র ও বস্তুসামগ্রী তৈরি করে। প্রযুক্তি শব্দটি অনেক ব্যপক অর্থে ব্যবহৃত হয়।

মানুষ তার নিজ জীবনপদ্ধতি ও বোধগম্যতার ভিত্তিতে প্রযুক্তি শব্দের ব্যাখ্যা করে। যেমন, আমরা প্রায়ই বলে থাকি ‘জীবন পথে চলতে প্রযুক্তি ব্যবহার করা প্রয়োজন’। এর অর্থ কী? মানুষ যে শুধু নিত্যনতুন আবিষ্কৃত বস্তু ব্যবহার করে তার জীবন পথ চলছে তা নয়, পথ চলতে প্রতিনিয়ত সে যেসব পদ্ধতি অনুসরণ করছে, নতুন নতুন সংগঠন তৈরি করছে এবং তার সাহায্য নিচ্ছে এ সবই প্রযুক্তিগত ধারণার অন্তর্ভুক্ত । আমরা প্রযুক্তি ব্যবহার করে আমাদের ক্ষমতা বৃদ্ধি করি এবং প্রযুক্তি ব্যবহার করি বলেই সহজ ও স্বাচ্ছন্দ জীবনের আনন্দ উপভোগ করি।

 

Office Desk 1 ক্যারিয়ার গঠনে প্রযুক্তির গুরুত্ব ও প্রযুক্তিগত দক্ষতা গঠনের উপায়

 

সাধারণভাবে আমরা যখন কোন সমস্যায় পড়ি তখন আমাদের জ্ঞানের প্রয়োগ করে নতুন কোন পথ বাতলাই, বা নতুন কিছু আবিষ্কার করি যা আমাদের সেই সমস্যার সমাধান করে দেয়। এ বিষয়টি আপনার জানা প্রয়োজন যে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি একই বিষয় নয়। বিজ্ঞান হল জ্ঞান বা বিদ্যার একটি শাখা, অন্যটি হল তার প্রয়োগ বা সৃষ্টি যা সমস্যার সমাধান করে বা কোন কাজ সম্পন্ন করে। জীবনের বিচিত্র ক্ষেত্রে নানা ধরনের প্রযুক্তি ব্যবহৃত হয়। যেমন, একটি কলম। লেখার কাজে আমরা তা ব্যবহার করি। বিজ্ঞানের জ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে কলম আবিষ্কৃত হয়েছে। কলম একটি বস্তু।

একে হার্ডওয়্যার বলে এবং কলম উৎপাদন প্রণালীকে সফ্টওয়্যার বলে। আবার একটি বাড়ি বা কোন যন্ত্র নির্মাণ করতে শুরুতে যে নক্শা বা ডিজাইন আঁকা হয় এবং যে পরিকল্পনা করা হয় তাকে সফ্টওয়্যার বলে। অন্যদিকে বাড়ি বা যন্ত্র নির্মাণ করতে যে উপাদান ব্যবহার করা হয় যেমন, ইট, কাঠ, লোহা, সিমেন্ট ইত্যাদিকে হার্ডওয়্যার বলে। প্রযুক্তিকে যদি মানুষের কল্যাণে ব্যবহার করা যায় তবে তা সার্থক হয়। কিন্তু প্রযুক্তি যখন কোন ধ্বংসাত্মক কাজ বা মানুষের অকল্যাণে ব্যবহৃত হয় তখন বিজ্ঞানের জ্ঞান ব্যর্থ হয়ে যায়। সে কারণে প্রযুক্তি শুধু ব্যবহার করলেই হবে না তার ব্যবহারকে কল্যাণমুখী করে তোলার ব্যাপারে আমাদের ভাবতে হবে।

ক্যারিয়ার গঠনে প্রযুক্তির গুরুত্ব

ইউনিট এক এ আপনারা ক্যারিয়ার সম্বন্ধে পর্যাপ্ত ধারণা লাভ করেছেন। আপনারা জেনেছেন যে কাজ, পেশা, বৃত্তি ও চাকরি ইত্যাদির সমন্বিত বা সাধারণ অবস্থাকে ক্যারিয়ার বলা হয়। অর্থাৎ মানুষ যে কাজই করুক না কেন দীর্ঘ সময় পর কেবল সে কাজে ক্যারিয়ার গঠন করতে পারে। ক্যারিয়ার গঠন করার জন্য তাকে ধাপে ধাপে অভিজ্ঞতা ও জ্ঞান অর্জন করে এগিয়ে যেতে হয়। এ জন্য প্রয়োজন হয় সুনির্দিষ্ট শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ। শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ গ্রহণকালে সে প্রযুক্তির ব্যবহার করে শিক্ষা গ্রহণ প্রক্রিয়াকে অনেক বেশি সহজ ও আধুনিক করে তুলতে পারে। আধুনিক শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ গ্রহণে প্রযুক্তির ব্যবহার অনস্বীকার্য।

সমাজ বিকাশের সাথে সাথে সমাজভুক্ত সদস্য অর্থাৎ মানুষও ক্রমে বিকশিত হতে থাকে এবং তাদের প্রয়োজন ও যোগ্যতার সীমাও দ্রুত বৃদ্ধি পেতে থাকে। আগে মানুষ সামান্য কিছু লেখাপড়া করেই, বড়জোর কলেজ পর্যন্ত পড়ে এবং পাশ করে কোন একটা কাজ বা চাকরিতে ঢুকে পড়ত। সেখানে তার বিশেষ কোন দক্ষতা চাওয়া হত না। মানুষ কাজ করতে করতে দক্ষতা অর্জন করত এবং তাই দিয়েই চাকরি ও পেশাক্ষেত্রে সফলতার সাথে কাজ সম্পন্ন করতে সচেষ্ট থাকত। কিন্তু যুগের পরিবর্তনের সাথে সাথে বিজ্ঞানের জ্ঞান মানুষকে অনেক সহজ ও যান্ত্রিক জীবনের ইঙ্গিত দিয়েছে।

মানুষ সেগুলো ব্যবহার করার জন্য প্রতিনিয়ত জ্ঞান অনুসন্ধানে দিক্‌বিদিক ছুটে চলেছে। মানুষের অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাস্কৃতিক ধারণার পরিবর্তন হয়েছে। সে কারণে তার চাহিদাও বেড়েছে। এখন সমাজ জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট জ্ঞান ও দক্ষতার প্রয়োজন হয়। চাকরির নিম্ন স্তরেও নির্দিষ্ট যোগ্যতা চাওয়া হয়। ফলে জ্ঞান-বিজ্ঞানের শাখা যেমন বেড়েছে, বেড়েছে বিদ্যালয়ের সংখ্যা, বিচিত্র ধরনের সব শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানের উদ্ভব হয়েছে এবং সেই সাথে শিক্ষার সুযোগও বৃদ্ধি পেয়েছে।

ব্যবসায় ক্ষেত্রে ক্যারিয়ার গঠন: ইদানিংকালে বিভিন্ন ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান বাজারে নিজেদের যোগ্য প্রতিযোগী হিসেবে দাঁড় করানোর জন্য নতুন নতুন প্রযুক্তিগত দ্রব্য উৎপাদন করছে, সেগুলো বাজারে ছাড়ছে এবং মানুষের জন্য সেবামূলক উদ্যোগ নিচ্ছে। যেমন, একেবারে আধুনিক উৎপাদন মোবাইল ফোনের কথাই বলা যাক। এই দ্রব্যটি প্রতি মহূর্তে নতুন নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবন করছে এবং মোবাইল ফোনের বিভিন্ন সংস্থা যেমন Apple, Samsung ইত্যাদি বাজারে তাদের মাধ্যমে তথ্য প্রযুক্তির বিকাশসাধন করেন এবং নিজেরা অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করেন। এই ভাবে তাদের কর্মকাণ্ড ক্যারিয়ার গঠনে সহায়ক হয়।

 

প্রযুক্তির গুরুত্ব

 

প্রযুক্তিগত দক্ষতা গঠনের উপায়

প্রযুক্তিগত দক্ষতা গঠনের জন্য প্রযুক্তিগত বিষয়বস্তু শিখন ও অনুশীলন প্রয়োজন। এই বিষয়বস্তুগুলো সাধারণত কোন নির্দিষ্ট কাজ সম্পর্কিত হয়। যেমন, ব্যাংকিং অথবা ক্ষুদ্র ব্যবসায় ইত্যাদি। এখানে ব্যাংকিং এর ক্ষেত্রে চেক ক্লিয়ারিং এর জন্য স্ক্যানার, চেক ভেরিফিকেশন যন্ত্র বা ক্যাশ কাউন্টিং যন্ত্রের ব্যবহারে এসব সম্বন্ধনীয় দক্ষতা ও যোগ্যতার বিকাশ ঘটে।

প্রযুক্তিগত দক্ষতাসম্পন্ন একজন ব্যক্তি তার ব্যক্তিগত জীবনে নানারকম সমস্যার মোকাবেলা করতে পারে। সে কৌশলী মনোভাব পোষণ করে, এজন্য যে কোন সমস্যার খুঁটিনাটি বিষয়ের প্রতি মনোযোগী হয় এবং সমাধানের জন্য বাস্তব প্রেক্ষাপটে চিন্তা-ভাবনা করে। এ কারণে কোন কাজে প্রযুক্তিগত দক্ষতাসম্পন্ন ব্যক্তির সময় অনেক কম নষ্ট হয়, ফলে তার আয় বৃদ্ধি পায় ৷

প্রযুক্তিগত দক্ষতা গঠন করার উপায়

  • প্রযুক্তিগত বই পড়ুন। যা পড়েছেন তা অন্যের কাছে বিশ্লেষণ করুন। বিশ্লেষণের সময় আপনার ধারণা আরও বেশি স্পষ্ট ও সুগঠিত হবে। যা সম্পর্কে বইটি পড়ছেন সে বিষয়ে হাতে কলমে কাজ করুন। অর্থাৎ অনুশীলন করুন।
  • প্রশিক্ষণ গ্রহণ করুন। চাকরি ক্ষেত্রে কোন নির্দিষ্ট দক্ষতা উন্নয়নের জন্য যদি প্রশিক্ষণ গ্রহণের সুযোগ পান তবে অবশ্যই তা নিষ্ঠার সাথে গ্রহণ করুন। এর জন্য বর্তমানে আপনার কি দক্ষতা ও যোগ্যতা আছে তা সঠিকভাবে জানুন। অর্থাৎ আত্মবিশ্লেষণ করুন। আপনার পারদর্শিতার স্তর জানা থাকলে পরবর্তী দক্ষতা গ্রহণ করতে সুবিধা হবে
  • প্রয়োগ করুন। প্রশিক্ষণে যা শিখেছেন তা প্রয়োগের জন্য কাজের পরিবেশ তৈরি করুন। অফিসে বা ঘরে যেখানে সুযোগ পাবেন আপনার অর্জিত দক্ষতা প্রয়োগ করে কাজটি সম্পন্ন করবেন। এর ফলে একদিকে আপনার দক্ষতার প্রয়োগ যোগ্যতা বৃদ্ধি পাবে অন্যদিকে আপনি আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠবেন।
  • অন্যকে কাজ শেখান। প্রতিষ্ঠানে যারা নতুন, কাজে তেমন দক্ষ না, এমন ব্যক্তিকে কাজে নির্দেশনা দিন। কীভাবে কাজটি করতে হয় দেখিয়ে দিন। এটি করতে গিয়ে আপনার দক্ষতা আরও বৃদ্ধি পাবে এবং আপনার ভিতরে কোন ভুল-ত্রুটি থাকলে বা সন্দেহ থাকলে তা সংশোধন হয়ে যাবে।
  • সাথে একটি কম্পিউটার রাখুন। আপনার নিজের কম্পিউটারটি সাথে রাখুন। যে কাজই করুন না কেন আপনার কম্পিউটারে তার কপি রাখুন। অবসরে বা নিজের সময় যেন কাজের ভুল-ত্রুটি সংশোধন করতে পারেন বা বিকল্প ব্যবস্থা সংযোজন করতে পারেন।
  • ওয়েব সাইটে বিচরণ করার অভ্যাস তৈরি করুন। আপনার প্রয়োজনীয় বিষয়বস্তু ইন্টারনেটে পাওয়া যায় কিনা তা খোঁজ করুন। কারণ ইন্টারনেট যে কোন বিষয়ে আপনাকে সাম্প্রতিক ও ব্যাপক তথ্য দেবে। আপনার কাজটিকে স্বয়ং সম্পূর্ণ করার জন্য এসব তথ্য প্রয়োজন হবে।

কাজ – দুই

আপনার বাড়িতে বা অফিসে যেখানে কম্পিউটার ও ইন্টারনেট সংযোগ আছে, সেখানে কম্পিউটার ব্যবহার করে আপনি ইন্টারনেটে প্রবেশ করুন এবং ‘প্রযুক্তি’ সম্পর্কিত কোন ওয়েব সাইটে ঢুকুন। ‘প্রযুক্তি’ সম্পর্কিত একটি তথ্য ডাউনলোড করুন। তথ্যটি পড়ুন এবং বাংলায় এর সারবস্তু লিখুন।

 

Google news logo ক্যারিয়ার গঠনে প্রযুক্তির গুরুত্ব ও প্রযুক্তিগত দক্ষতা গঠনের উপায়
আমাদের গুগল নিউজ ফলো করুন

 

সারসংক্ষেপ

আধুনিক যুগ প্রযুক্তির যুগ। উন্নত দেশে তো বটেই, আমাদের দেশেও মানুষ এখন বহুক্ষেত্রে কোন কাজ সংরক্ষণ ও ব্যবহারের জন্য কম্পিউটার ব্যবহার করছে। এর ফলে সময় বাঁচে। পর্যাপ্ত সময় হাতে থাকে বলে মানুষ এখন বহুগুণ কাজ করতে পারে, নিজের ক্যারিয়ার এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে এবং অতিরিক্ত অর্থ উপার্জনে মনোনিবেশ করতে পারে। এজন্য প্রযুক্তিগত দক্ষতা উন্নয়ন প্রত্যেক মানুষের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

প্রযুক্তিগত দক্ষতা উন্নয়নের জন্য তার কম্পিউটারকেন্দ্রিক কর্ম প্রেরণা থাকা উচিত। এর উপর নানা ধরনের প্রশিক্ষণ কেন্দ্র দেশের বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে আছে। প্রয়োজন উপযোগী প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে এবং অর্জিত জ্ঞান ও দক্ষতা প্রয়োগ করে ব্যক্তি তার ক্যারিয়ার উন্নতির শিখরে পৌছাতে পারে।

 

আরও পড়ুন….

Leave a Comment