প্রেষণার প্রকারভেদ ও ক্যারিয়ার গঠনে প্রেষণার গুরুত্ব

প্রেষণার প্রকারভেদ ও ক্যারিয়ার গঠনে প্রেষণার গুরুত্ব আমাদের আজকের আলোচনার বিষয়। এই পাঠটি “বাউবি এসএসসি ২৩৫৮ ক্যারিয়ার শিক্ষা” এর  “ক্যারিয়ার গঠনের উপাদান ও কৌশল” ইউনিট ২ এর অন্তর্ভুক্ত।

 

প্রেষণার প্রকারভেদ ও ক্যারিয়ার গঠনে প্রেষণার গুরুত্ব

পূর্ববর্তী পাঠ থেকে আমরা জেনেছি যে প্রেষণা একটি মনোবৈজ্ঞানিক ধারণা। প্রেষণাকে আঙ্গুল দিয়ে দেখানো যায় না বরং প্রেষণার ফলে যদি কোন ব্যক্তির মধ্যে কোন আচরণের সৃষ্টি হয় তবেই বোঝা যায় যে ঐ ব্যক্তি প্রেষিত আচরণ করছে। একইভাবে প্রেষণার শ্রেণিবিভাগের ব্যাপারেও মনোবিজ্ঞানীদের মধ্যে অনেক মতভেদ রয়েছে।

প্রেষণার ধরন, বৈচিত্র্য বা প্রকৃতি অনুযায়ী এটাকে নানাভাবে বিভক্ত করা হয়েছে। যেমন প্রকৃতি অনুযায়ী মনোবিজ্ঞানীরা প্রেষণাকে দুই ভাগে ভাগ করেছেন, যথাঃ জৈবিক প্রেষণা ও সামাজিক প্রেষণা। শিক্ষার্থীদের ক্যারিয়ার গঠনে উভয় ধরনের প্রেষণাই অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। বর্তমান পাঠে প্রেষণার শ্রেণিবিভাগ এবং ক্যারিয়ার গঠনে প্রেষণার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে আলোচনা করা হল ।

পর্ব-ক: প্রেষণার প্রকারভেদ

শিক্ষার্থী বন্ধুরা,

আমাদের অনেক চাহিদা বা প্রয়োজন রয়েছে। এসব চাহিদা থেকে আমাদের মধ্যে এক ধরনের তাড়না বা প্রেষণা সৃষ্টি হয়। এই প্রেষণাকে সাধারণত দৈহিক এবং সামাজিক এই দুই ভাগে বিভক্ত করা হয়। বন্ধুরা, দৈহিক ও সামাজিক কারণে আমাদের মধ্যে যেসব প্রেষণা সৃষ্টি হয় সেগুলো আমরা নিচের ছকে আলাদা করে লিখি এবং নিচের অনুচ্ছেদের সাথে মিলিয়ে নেই ।

প্রেষণার প্রকারভেদ প্রেষণার প্রকারভেদ ও ক্যারিয়ার গঠনে প্রেষণার গুরুত্ব

আমাদের প্রয়োজন অনেক, তাই আমাদের অভাবও অনেক। এই প্রয়োজন ও অভাব মেটাতে আমাদেরকে অনেক জিনিস গ্রহণ করতে হয়, আবার অনেক জিনিস ত্যাগ করতে হয়। প্রয়োজনটি হতে পারে জৈবিক বা মানসিক। প্রয়োজনের বিভিন্নতার জন্য প্রেষণাও বিভিন্ন হতে পারে। তবে মনোবিজ্ঞানীগণ প্রেষণাকে প্রধানত দু’ভাগে ভাগ করেছেন। যথাঃ জৈবিক বা দৈহিক প্রেষণা ও মানসিক ও সামাজিক কারণে প্রেষণা। আবার শিক্ষামূলক আচরণের ক্ষেত্রে প্ররোচনার দৃষ্টিকোণ থেকে প্রেষণাকে অন্য দুই ভাগেও বিভক্ত করা হয়েছে। যেমনঃ অন্তর্নিহিত প্রেষণা ও বাহ্যিক প্রেষণা।

জৈবিক প্রেষণা

যে প্রেষণাগুলো প্রাণীর জীবন ধারণে সহায়তা করে অর্থাৎ তাকে বাঁচিয়ে রাখে সেগুলিকেই জৈবিক প্রেষণা বলে। যেমন, ক্ষুধা, তৃষ্ণা, নিদ্রা, কাম, প্রবৃত্তি ইত্যাদি। জৈবিক প্রেষণা প্রাণীর আচার-আচরণ ও কর্মপ্রবাহ নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। যেহেতু এই প্রেষণাগুলো জীবন ধারণের জন্য অপরিহার্য এবং জন্মগতভাবেই প্রাণী এসব অর্জন করে তাই এগুলিকে মুখ্য বা সহজাত প্রেষণাও বলা হয়ে থাকে। ইতর প্রাণীর ক্ষেত্রে জৈবিক প্রেষণাগুলো সহজ ও অবিকৃতভাবে প্রকাশিত হয় কিন্তু সমাজ, সংস্কৃতি ও শিক্ষা-দীক্ষার প্রভাবে মানুষের বেলায় এসব প্রেষণা নিয়ন্ত্রিত ও ভদ্র রূপে প্রকাশ পায়। তবে কখনো কখনো আবার কোন জৈবিক প্রেষণা মানুষের মধ্যে বিকৃতভাবেও প্রকাশিত হতে পারে।

সামাজিক প্রেষণা

সমাজে বেঁচে থাকার জন্য মানুষের মধ্যে এমন কতগুলো চাহিদা সৃষ্টি হয় যা তাকে জীবনে প্রতিষ্ঠা ও প্রতিপত্তি এনে দেয়। কতক সামাজিক প্রেষণা আছে যেগুলো আপাতত দৃষ্টিতে সহজাত মনে হলেও সেগুলো প্রধানত শিক্ষালব্ধ ও সামাজিক যেমন, কৃতিত্ব, প্রভাব, প্রতিপত্তি, খ্যাতি, স্বাধিকার, আনুগত্য, দলভুক্তি, মর্যাদা লাভ ইত্যাদি সামাজিক প্রেষণার উদাহরণ। জৈবিক প্রেষণার মত সামাজিক প্রেষণার কোন শারীরিক ভিত্তি নেই তবে সমাজ, সভ্যতা ও সাংস্কৃতিক পটভূমির প্রেক্ষিতে মানুষের মধ্যে এগুলোর বিকাশ ঘটে। সামাজিক প্রেষণা জীবন ধারণের জন্য অপরিহার্য না হলেও মানুষের কাজকর্ম ও জীবন ধারণের সাথে এগুলোর ঘনিষ্ট সম্পর্ক রয়েছে। প্রাণীর বিভিন্ন আচরণের তাৎপর্য বুঝতে হলে জৈবিক প্রেষণার পাশাপাশি সামাজিক প্রেষণা সম্পর্কেও সুস্পষ্ট জ্ঞান থাকা দরকার।

অন্তর্নিহিত প্রেষণা

জৈবিক বা সামাজিক কারণ ছাড়াও মানুষের অন্তস্থ কিছু চাহিদা পূরণের জন্যও প্রেষণার সৃষ্টি হয়ে থাকে, এ ধরনের প্রেষণাকে অন্তর্নিহিত প্রেষণা বলা হয়। যেমন, কখনো কখনো খেলতে বসলে বা পড়তে বসলে আমরা সে কাজে এতই মেতে থাকি যে খাওয়ার কথাও ভুলে যাই। এখানে খেলা বা পড়ার প্রতি যে আকর্ষণ তা এক ধরনের অন্তর্নিহিত প্রেষণা। আগ্রহ, উৎসাহ, কোন কাজে তৃপ্তি ইত্যাদি অন্তর্নিহিত প্রেষণার উদাহরণ।

বাহ্যিক প্রেষণা

আমাদের সবার মধ্যেই প্রচুর পরিমাণে জৈবিক ও সামাজিক চাহিদা রয়েছে যার প্রেক্ষিতে আমরা বিভিন্ন আচরণ করে থাকি। আমাদের চারিপাশে এমন কিছু উপাদান রয়েছে যেগুলি উপরিউক্ত চাহিদা পূরণে বিশেষ সহায়তা করে যেমন, খাদ্য, বস্ত্র, পদমর্যাদা, পারিতোষিক, কিছু বস্তু সামগ্রী ইত্যাদি। এসব উপাদান প্রাপ্তির আশায় মানুষের মধ্যে যে প্রেষণা সৃষ্টি হয় তাই হল বাহ্যিক প্রেষণা ।

 

কাজ-১

শিক্ষার্থী বন্ধুরা, নিচের বৃত্ততে কতগুলো প্রেষণা লেখা আছে। কোটি কোন ধরনের প্রেষণা নিচের ছকে লিখুন এবং বইয়ের সাথে মিলিয়ে নিন।

কাজ ১ প্রেষণার প্রকারভেদ ও ক্যারিয়ার গঠনে প্রেষণার গুরুত্ব

পর্ব-খ: ক্যারিয়ার গঠনে প্রেষণার গুরুত্ব

শিক্ষার্থী বন্ধুরা, আসুন আমরা নিচের গল্পটি পড়ি।

আবিদ অষ্টম শ্রেণীর একজন মেধাবী ছাত্র। তার ইচ্ছা লেখাপড়া করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হবে। কিন্তু তার বাবা একজন গরীব কৃষক। একদিন আবিদের বাবা আবিদকে ডেকে বললেন, “বাবা আমরা গরীব মানুষ । লেখাপড়া | আমাদের জন্য নয়। আমি সংসার চালাতেই হিমশিম খাচ্ছি, তোমার পড়ালেখার খরচ যোগাব কী করে? তার চেয়ে | কাল থেকে তুমি আমার সাথে মাঠে কাজ কর। আমিও একটু আয়েশ পাব।” পরের দিন আবিদ কাঁদো কাঁদো স্বরে | বিষয়য়টি তার প্রিয় শিক্ষক মফিজুর রহমান সাহেবকে বলল। মফিজুর রহমান সাহেব তাকে সাহস দিয়ে বললেন, হতাশ হতে নেই বাবা। সমস্যা আছে তার সমাধানও আছে।

আগামী কাল থেকে তুমি আমার বাড়িতে জায়গীর থেকে পড়ালেখা করবে। আমি তোমার পড়ালেখার খরচ দিব। শিক্ষকের মুখে এমন আশার বাণী শুনে আবিদ অত্যন্ত | আনন্দিত হল। বিষয়টি আবিদ তার বাবা-মাকে খুলে বললে তারাও অনেক খুশি হলেন। পরের দিন আবিদ শিক্ষকের | বাসায় চলে গেল। শিক্ষক মফিজুর রহমান সাহেব তার স্ত্রী, এবং ছেলেমেয়েরাও খুব আনন্দ চিত্তে তাকে গ্রহণ করল। এরপর থেকে আবিদ নিয়মিত লেখাপড়ার পাশাপাশি বাড়ির ছোটখাট অনেক কাজে মফিজুর রহমান এবং পত্নী লিলি বেগমকে সহযোগিতা করতে লাগল। তাদের সন্তান দীপা এবং অনিকের লেখাপড়ায়ও সহযোগিতা করতে লাগল ।

অল্প কয়েকে দিনের মধ্যে আবিদ বাড়ির মধ্যমণি হয়ে উঠল। এ বাড়ি থেকেই সে এসএসসি ও এইচএসসি উভয় পরীক্ষায় | জিপিএ ৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়। পরবর্তীতে সে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয় এবং টিউশন করে নিজের খরচ চালাতে থাকে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিষয়ে অনার্স এবং মাস্টার্স উভয় পরীক্ষায় সে প্রথম শ্রেণীতে প্রথম স্থান অর্জন | করে। এরপর সে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিষয়ে প্রভাষক পদের জন্য আবেদন করে। কর্তৃপক্ষ তার যোগ্যতা বিচার | বিবেচনা করে যথাযথ প্রক্রিয়ায় প্রভাষক পদে নিয়োগ দান করে। এভাবেই আবিদ তার জীবনের লক্ষ্যে উপনীত হয় ।

শিক্ষার্থী বন্ধুরা, আপনারা কী বলতে পারেন কীভাবে আবিদ নানা বাধা পেরিয়ে তার কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে উপনীত হল? বন্ধুরা, আবিদের এই সফলতার মূলে রয়েছে তার অদম্য ইচ্ছাশক্তি। কোন কিছু পাবার প্রথম শর্ত হল ইচ্ছা বা চাহিদা। আর চাহিদা থেকেই প্রেষণার সৃষ্টি। প্রেষণার উপর নির্ভর করে শিক্ষার্থীর ভবিষ্যৎ জীবন। অদম্য প্রেষণার কারণেই মানুষ চাঁদে যেতে পেরেছে, হিমালয় জয় করতে পেরেছে। শিক্ষার্থীদের শিখনের ক্ষেত্রেও প্রেষণা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। মনোবিজ্ঞানীরা প্রেষণার ভূমিকাকে তিনটি শ্রেণিতে বিভক্ত করেছেন। যেমন, প্রেষণা:

(ক) শিক্ষামূলক আচরণে শক্তি যোগায়;

(খ) শিক্ষামূলক আচরণ নির্বাচন ও নির্ধারণ করে ;

(গ) শিক্ষামূলক আচরণের গতিপথ নির্ণয় করে।

প্রেষণা শিক্ষামূলক আচরণে শক্তি যোগায়: শিক্ষা অর্জনের জন্যও মানসিক শক্তি ও উদ্যমের প্রয়োজন। শিক্ষণীয় বিষয়বস্তু অর্জনের জন্য অন্তর্নিহিত ও বাহ্যিক প্রেষণাগুলিকে কাজে লাগিয়ে আমরা নিজেদের মধ্যে এই উদ্যম ও শক্তির সঞ্চার করি। যে সব শিক্ষার্থীর ক্ষেত্রে এই প্রেষণাগুলি দুর্বল বা নিচু স্তরে থাকে তারা শিক্ষার ব্যাপারে অত্যন্ত উদাসীন হয়।

 

Google news logo প্রেষণার প্রকারভেদ ও ক্যারিয়ার গঠনে প্রেষণার গুরুত্ব
আমাদের গুগল নিউজ ফলো করুন

 

প্রেষণা শিক্ষামূলক আচরণে শক্তি যোগায়: শিক্ষা অর্জনের জন্যও মানসিক শক্তি ও উদ্যমের প্রয়োজন। শিক্ষণীয় বিষয়বস্তু অর্জনের জন্য অন্তর্নিহিত ও বাহ্যিক প্রেষণাগুলিকে কাজে লাগিয়ে আমরা নিজেদের মধ্যে এই উদ্যম ও শক্তির সঞ্চার করি। যে সব শিক্ষার্থীর ক্ষেত্রে এই প্রেষণাগুলি দুর্বল বা নিচু স্তরে থাকে তারা শিক্ষার ব্যাপারে অত্যন্ত উদাসীন হয়।

প্রেষণা শিক্ষামূলক আচরণের গতিপথ নির্ণয় করে: প্রেষণার আর একটি বৈশিষ্ট্য হলো ব্যক্তির আচরণকে সঠিক লক্ষ্যের দিকে পরিচালিত করা। বিচ্ছিন্নভাবে আচরণ করলে নির্দিষ্ট লক্ষ্যে পৌছানো সম্ভব হয়না। যেমন, কেউ যদি পরীক্ষায় ভাল ফল করতে চায় তবে তাকে নিয়মিতভাবে পড়াশুনা চালিয়ে যেতে হবে এবং সেই সাথে শিক্ষকদের সাথে যোগাযোগ রেখে সঠিকভাবে পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত হতে হবে ।

তাহলে দেখা যাচ্ছে, শিক্ষার্থীর ক্যারিয়ার গঠনের জন্য প্রয়োজন গুণগত মানের শিক্ষা। শিক্ষা ছাড়া কোন কাজেই সফলতা অর্জন করা যায় না। তাই শিক্ষাকে উন্নয়নের চাবিকাঠি বলা হয়। আর শিক্ষার জন্য প্রয়োজন শিক্ষার্থীর প্রেষণা। প্রেষণা শুধু শিক্ষা ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ নয়, বরং জীবনের সকল ক্ষেত্রেই চালিকা শক্তি হয়ে কাজ করে। এজন্য শৈশব থেকেই

প্রত্যেকের জীবনের লক্ষ্য নির্ধারণ করতে হবে। তাহলে লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য নিজের মধ্যে প্রেষণা জাগ্রত হবে এবং লক্ষ্যে পৌঁছানো সম্ভব হবে। যেমন, কোন শিক্ষার্থী যদি শৈশব থেকে ইচ্ছা পোষণ করে সে ডাক্তার হবে। তাহলে তাকে অনেক অধ্যয়ন করতে হবে, বিজ্ঞান বিভাগে পড়তে হবে, ভাল ফলাফল করতে হবে, ভর্তি পরীক্ষায় চান্স পেতে হবে এবং ভর্তির পর এমবিবিএস পাশ করতে হবে। তাহলেই না একজন ডাক্তার হওয়া সম্ভব। লক্ষ্য নির্ধারণ করলে পরবর্তী কর্মপ্রচেষ্টা আপনা আপনি আসে। লক্ষ্য ব্যক্তির মধ্যে প্রেষণা সৃষ্টি করে ব্যক্তিকে সফলতার পথে চালিত করে। সুতরাং ক্যারিয়ার গঠনে প্রেষণার ভূমিকা অপরিসীম।

সারসংক্ষেপ

ক্যারিয়ার গঠনে প্রেষণা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। প্রেষণাকে প্রধানত দুই ভাগে ভাগ করা যায়। যেমন, জৈবিক সামাজিক । জৈবিক প্রেষণা হল যা মানুষকে বাঁচিয়ে রাখতে সাহায্য করে তাই। যেমন- কৃতিত্ব, প্রভাব, প্রতিপত্তি, দলভুক্তি, স্বাধিকার ইত্যাদি। এছাড়া প্রেষণার উৎস অনুযায়ী একে অন্তর্নিহিত বা বাহ্যিক এই দুই ভাবেও ভাগ করা যায়। প্রেষণা মানুষের আচরণে শক্তি যোগায়, তার শিক্ষামূলক আচরণ নির্ধারণ করে এবং আচরণের গতিপথ নিয়ন্ত্রণ করে ।

 

আরও পড়ুন….

 

Leave a Comment