ভাল শ্রোতার বৈশিষ্ট্য এবং ভাল শ্রোতা হওয়ার কৌশল

ভাল শ্রোতার বৈশিষ্ট্য এবং ভাল শ্রোতা হওয়ার কৌশল আমাদের আজকের আলোচনার বিষয়। এই পাঠটি “বাউবি এসএসসি ২৩৫৮ ক্যারিয়ার শিক্ষা” এর  “ক্যারিয়ার গঠনে সংযোগ স্থাপন ও আচরণ” ইউনিট ৩ এর অন্তর্ভুক্ত।

 

ভাল শ্রোতার বৈশিষ্ট্য এবং ভাল শ্রোতা হওয়ার কৌশল

আমরা যখন কোন বিষয় নিয়ে কিছু শুনি তখন বিষয়টি সম্পর্কে ধারণা করতে পারি। অর্থাৎ বিষয়টি সম্পর্কে মনে একটি ভাব তৈরি হয়। ঐ ভাব দিয়ে পরে ভাষার মাধ্যমে আমরা তা প্রকাশ করি। শোনার মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে ভাষার অগ্রযাত্রা। কোন কিছু জানতে হলে প্রথমে তা শুনতে হয়। সুতরাং সঠিকভাবে শোনার গুরুত্ব অত্যাধিক । দৈনন্দিন জীবনে চলতে ফিরতে সব সময়ই আমরা কিছু না কিছু শুনছি। তাই শোনার অভ্যাস আমাদের সর্বাপেক্ষা বেশি। কিন্তু সাধারণভাবে যা শুনি তার অধিকাংশই মনে রাখতে পারি না কারণ তা মন লাগিয়ে শুনি না।

কিন্তু যে বক্তব্য আমাদের প্রয়োজন, যা আমাদের সমস্যার সমাধান করবে বা জীবন পথে চলতে সাহায্য করবে তা মনে রাখার জন্য মন লাগিয়ে শুনতে হয়। এই মন লাগিয়ে শোনার অভ্যাসটি সহজে গড়ে ওঠে না। অনুশীলন করতে হয়। শিশুকাল থেকে অনুশীলন করলে শোনার অভ্যাস গড়ে ওঠে এবং একজন ভাল শ্রোতা হওয়া যায়।

কাজ – এক

নিচের এই কাজটি করে আপনি আপনার শোনার দক্ষতা যাচাই করতে পারবেন। আপনার পার্শবর্তী কোন বন্ধুকে নিচের লেখা অংশটি একবার পড়তে বলবেন এবং আপনি মনোযোগ দিয়ে শুনবেন। বন্ধুর পড়া শেষ হলে নিচে ছকে শূন্য ঘরগুলো পূরণ করবেন।

মায়া দেশ বিদেশ মিলিয়ে অনেক জায়গায় ঘুরেছে। তার বন্ধু ডলির সাথে সে বিভিন্ন জায়গায় গেছে। তারা একসাথে ২০০৫ সালে ভারত যায়। সাত দিনের এই ভ্রমণে তারা ভারতের মুম্বাই ও গোয়া ঘুরে দেখে এসেছে। এরপর দুই বছরের মাথায় মায়া লন্ডন যাওয়ার সুযোগ পায়। লীড্স বিশ্ববিদ্যালয়ের আমন্ত্রণে মায়া স্বরচিত একটি গবেষণাপত্র পড়ে শুনিয়েছিল।

দেশের ভিতর মায়া ১৯৯৫ সালে মামার সাথে বান্দরবান যায়। তখন ওর বয়স আঠারো বছর। এইচ.এস.সি পরীক্ষা দেয়ার পর এই ভ্রমণের সুযোগ এল। ২০১০ সালে পরিবারের সাথে সে সুন্দরবন বেড়াতে যায়। ঐ বছরেই জুন মাসে বোনের বিয়ে উপলক্ষ্যে ফরিদপুরের একটি গ্রাম কুসুমপুরে সে পাঁচ দিনের জন্য বেড়াতে যায়।

কাজ এক 2 ভাল শ্রোতার বৈশিষ্ট্য এবং ভাল শ্রোতা হওয়ার কৌশল

উত্তম শ্রবণ কী?

সাধারণভাবে শ্রবণ শব্দটিকে আমরা সাধু ভাষায় ব্যবহার করি। এর চলিত রূপ হল শোনা। শোনা কাজটি নেহায়েতই দৈহিক। আমাদের যে পঞ্চ ইন্দ্রিয় আছে তার মধ্যে কান একটি । আমরা কান দিয়ে শুনি। তবে আপনি যদি কোন সমস্যা নিয়ে একজন বক্তার কাছে যান এবং বক্তা যদি কিছু বলেন তবে শুধুই কান দিয়ে শুনলেই চলবে না, তাতে মন লাগাতে হবে। অর্থাৎ মনোযোগ দিয়ে শুনতে হবে। শোনা কথাটিকে আমরা বিভিন্নভাবে ব্যবহার করি। যথা:

  • আমরা যখন শুধুই কান দিয়ে শুনি এবং পরে তা ভুলে যাই বা স্মৃতি থেকে হুবহু স্মরণ করে বলতে পারি তখন তাকে আমরা শোনা বলি।
  • আমরা কোন কিছু শোনার সময় আশেপাশের অন্যসব কিছু তুচ্ছ করে শুনি এবং তার মর্ম উদ্ধার করতে সক্ষম হই তখন তাকে আমরা মনোযোগ দিয়ে শোনা বা লক্ষ করা বলি।

ব্যক্তি যখন মনোযোগ দিয়ে কোন কিছু শোনে তখন তাকে তার তিনটি দক্ষতা প্রয়োগ করতে হয়-

  • আগ্রহ (interest)
  • মনোযোগ (attention)
  • সমন্বয় (adjustment)

ভাল শ্রোতা

আপনি যদি আধুনিক ও সৃজনশীল একজন মানুষ হতে চান তবে একজন ভাল শ্রোতা হওয়া আবশ্যক। কারণ ভাল শ্রোতা তথ্যসমৃদ্ধ হন এবং এমন একজন ব্যক্তি যে কাজেই হাত দেন সেখানেই সফল হন। একজন ভাল শ্রোতা বক্তার বক্তব্য শোনার সময় তার মুখনিসৃত কথা, হাতের সঞ্চালন ও তার মৌখিক অভিব্যক্তি, বিশেষ করে চোখের ভাষার প্রতি মনোযোগী হন। যে কোন ব্যক্তি এবং তিনি যাই বলুন না কেন, আপনাকে ধৈর্য্য ধরে ও মনোযোগ দিয়ে শোনার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। আপনি যখন তার কথা মনোযোগ দিয়ে শুনবেন, তিনি সম্মানিত বোধ করবেন। সেইসাথে তিনি যে বিষয়েই প্রশ্ন করুন না কেন তা উত্তর দিতে আপনিও প্রস্তুত থাকতে পারেন। কারণ তিনি যা বলেছেন আপনি তা মনোযোগ দিয়ে শুনেছেন ।

 

Girl in Office 6 ভাল শ্রোতার বৈশিষ্ট্য এবং ভাল শ্রোতা হওয়ার কৌশল

 

দেখা যায় বক্তার সাথে একজন ভাল শ্রোতার একটি সম্পর্ক তৈরি হয়ে যায়। বক্তা যখন কিছু বলেন, তখন শ্রোতা হিসেবে আপনি যদি শুনতে কোন অসুবিধা বোধ করেন তবে অবশ্যই প্রশ্ন করবেন। এমন প্রশ্ন যা বক্তার বক্তব্যের বিষয় সংশ্লিষ্ট। বক্তা সে প্রশ্নের উত্তর দিতে আগ্রহ বোধ করেন। এভাবে বক্তার মুখনিসৃত কথা যে আপনি শুধু শোনেন তা তো নয়, সে কথা আপনি অনুধাবন করেন। পরে আপনি যখন কিছু বলবেন তখন স্বাভাবিকভাবে আপনার কথা তিনি মনোযোগ দিয়ে শুনবেন এবং নিজেকে একজন নিষ্ঠাবান শ্রোতার ভূমিকায় অবতীর্ণ করবেন।

ভাল শ্রোতার বৈশিষ্ট্য

সাধারণত আমরা নিজ প্রয়োজনেই একজন বক্তার কাছে যাই কিছু শুনতে। আমরা প্রশ্ন করি, তিনি উত্তর দেন। এ ক্ষেত্রে তিনি যা বলছেন তা যদি মনোযোগ দিয়ে শুনি তাহলেই উদ্দেশ্য সফল হবে। এ জন্য আপনাকে উন্নতমানের শ্রোতা হতে হবে। ভাল শ্রোতার কিছু বৈশিষ্ট্য থাকে। নিচে সেগুলো উল্লেখ করা হল:

১. ভাল শ্রোতা সাধারণত উদার ব্যক্তিত্বের অধিকারী হন। তিনি অন্যের মতামত, পরামর্শ, তার অনুভূতি ও অভিজ্ঞতা সহজেই গ্রহণ করতে পারেন এবং নিজ প্রয়োজনে তা ব্যবহার করতে উদ্যোগী হন।

২. সাধারণত শ্রোতা কিছু শোনার পর তা তার নিজের মধ্যে আলোড়িত করে বা বিশ্লেষণ করেন। বক্তা যা বলেছেন তা কতটা উদ্দেশ্য পূরণ উপযোগী এবং কতটা শুদ্ধ তা নির্ণয় করার জন্যই উত্তম শ্রোতা একাজ করেন।

৩. ভাল শ্রোতা সহজেই চোখে চোখ রেখে বক্তার দিকে তাকাতে পারেন। তিনি বক্তার মুখভঙ্গি, চোখের ভাষা, বিভিন্ন অঙ্গভঙ্গি ইত্যাদির মাধ্যমে বক্তব্যের অর্থ সহজ করেন।

৪. ভাল শ্রোতা দৃঢ় চরিত্রসম্পন্ন হয়। তিনি পোশাক বা শারীরিক বৈশিষ্ট্য এবং কোনরকম বিঘ্নকারী উপাদান যেমন, গরম, শব্দ দূষণ বা পরিবেশজনিত কোন বাধার প্রতি আমলে দেন না। বক্তব্যের মূল বিষয়বস্তু অনুসন্ধানে ব্যস্ত থাকেন।

৫. ভাল শ্রোতা বক্তব্যটি যখন অনুধাবন করেন তখন শুধুই তার ভাষাগত দিকটি গ্রহণ করেন না, বক্তার অনুভূতি ও চিন্তা আত্মস্থ করেন। বক্তার অনুভূতি ও তার নিজস্ব দৃষ্টিকোণ ছাড়া বক্তব্যের মর্ম উপলব্ধি করা কখনই সম্ভব নয়।

৬. উত্তম শ্রোতা শুধু শোনেন না, তিনি নিজের বক্তব্য, এ বিষয়ে তার জিজ্ঞাসা, তার চিন্তা-ভাবনা বা বোধ ইত্যাদি ব্যক্ত করেন। অর্থাৎ বক্তার সঙ্গে তার ভাব বিনিময় ঘটে।

৭. ভাল শ্রোতা বক্তাকে নিজের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করার সুযোগ করে দেন। ফলে শ্রোতা তার নিজ অভিজ্ঞতার সংমিশ্রণে এক অভিনব পথ খুঁজে পান যা দিয়ে তিনি তার সমস্যার সমাধান করতে পারবেন।

৮. শ্রোতা যদি ভাল করে বক্তার বক্তব্য শোনেন তবে অবশ্যই তার মধ্যে প্রশ্ন জেগে উঠবে। তিনি হবেন কৌতূহলী ও অনুসন্ধিৎসু। অর্থাৎ বক্তা কেন বিষয়টি বললেন, কী অবস্থায় বললেন, এর কোন বিকল্প আছে কিনা ইত্যাদি সম্পর্কে নানাবিধ প্রশ্ন তিনি বক্তাকে করেন। সুতরাং শ্রোতা শুধু শ্রোতাই নন তিনি প্রশ্নকারীও বটে।

৯. শ্রোতা যদি মনোযোগী হন এবং প্রশ্ন করতে থাকেন তবে বক্তা শ্রোতার সমস্যার স্থায়ী সমাধানও অনেক সময় দিতে পারেন।

১০. ভাল শ্রোতা ও বক্তার মধ্যে পারস্পারিক মত বিনিময়ের মাধ্যমে সুসম্পর্ক গড়ে ওঠে। ফলে শ্রোতা সহজেই বন্ধু লাভ করেন।

১১. একজন শ্রোতার শোনার অভ্যাস যদি খুব ভাল হয়, তবে তিনি সাধারণভাবে যে কোন বক্তব্য শুনতে আগ্রহী হন এবং বাস্তব জীবনে বিবিধ ক্ষেত্রে প্রয়োগ করার মত উপাদান তিনি পেতে পারেন।

 

ভাল শ্রোতার বৈশিষ্ট্য

 

একজন ভাল শ্রোতা হওয়া যায় কীভাবে?

যার ভাল শোনার দক্ষতা আছে সেই ভাল শ্রোতা। ভাল শোনার দক্ষতা অর্জন করতে হলে প্রথমে আপনাকে শুনতে হবে, তারপর যা শুনলেন তা ব্যাখ্যা করতে হবে। তারপর তার মর্ম উপলব্দি করতে হবে এবং সবশেষে তা নিজের অভিজ্ঞতার সাথে মেলাতে হবে। এর ফলে বক্তা যা মুখ দিয়ে বলেছেন এবং যা তার হৃদয় দিয়ে বলতে চেয়েছেন সবকিছুই আপনার বোধগম্য হবে। আপনি যদি ভাল শ্রোতা হতে চান তবে আপনাকে বিশেষ কিছু অবস্থা ও গুণাগুণ অর্জন করতে হবে। সেগুলো নিচে লেখা হোল:

বক্তার চোখে চোখ রাখুন – বক্তব্য শোনার অধিকাংশ সময় বক্তার চোখে চোখ রাখুন। দেখুন তার চোখ কী বলছে। তার মুখের অভিব্যক্তি লক্ষ করুন। আপনি যদি বক্তার দিকে না তাকিয়ে অন্য দিকে তাকিয়ে থাকেন তবে বক্তার মনে হতে পারে আপনি মনোযোগ দিয়ে শুনছেন না, ক্লান্ত বোধ করছেন এবং তার কথা শুনতে আপনার ভাল লাগছে না । তবে মাঝে মাঝে চোখ সরিয়ে নিতে পারেন, তাতে বক্তা সাচ্ছন্দ্য বোধ করবেন।

শোনার জন্য প্রয়োজনীয় অবস্থা তৈরি করুন – বক্তা যেখানে আছে সেদিকে মুখ করে সুবিধাজনক দূরত্বে বসুন অথবা দাঁড়িয়ে থাকুন। উদ্বিগ্ন হবেন না, শিথিল ভঙ্গিতে থাকবেন। বক্তা যা বলছেন না অথচ অর্থ প্রকাশ করছেন তা অনুধাবন করার চেষ্টা করুন। বক্তার হাত রাখার বা ঘোরানোর ভঙ্গি লক্ষ করুন। প্রয়োজনে সামনে ঝুকুন, সম্মতি বা অসম্মতি প্রকাশ করতে মাথা নাড়ুন। বিশেষ কারণে নিজের হাতের অবস্থানও পরিবর্তন করুন এবং প্রয়োজনে মৃদু হাসুন।

বক্তব্যে সাড়া দিন – বক্তব্যের প্রতি সাড়া দিতে বক্তা যা বলছে তার সারসংক্ষেপ উল্লেখ করুন। সারসংক্ষেপ উল্লেখ করার সময় আপনি আপনার নিজের ভাষা ও অভিব্যক্তি প্রকাশ করুন। বক্তার বক্তব্য শোনার সময় সাধারণত আমরা এভাবে তার প্রতি সাড়া দিয়ে থাকি, যেমন,

অর্থাৎ আপনি বলতে চাচ্ছেন….

অথবা অন্য কথায়…..

তার মানে এটাই বোঝাতে চাচ্ছেন যে……..

এটাই হয়েছিল?….

ও আচ্ছা এই……

আপনার সাড়া পাওয়ার পর বক্তা আপনার বোধগম্যতার মাত্রা বুঝতে পারেন। তখন তিনি তার বক্তব্য আরও সহজ করে বলতে চেষ্টা করেন। এ কারণে আপনার সাড়া দেয়ার ভাষা সঠিক ও অনুভূতিমিশ্রিত হতে হবে।

প্রশ্ন করুন – বক্তব্য যদি দূর্বোধ্য মনে হয় তবে আরও তথ্য জানার জন্য ও বোঝার জন্য প্রশ্ন করুন। প্রশ্ন হবে সরাসরি, সহজ এবং ব্যাখ্যামূলক। আপনার প্রশ্ন আপনাকে বক্তব্যের প্রতি মনোযোগী করে তুলবে এবং বক্তাও আপনার প্রতি আগ্রহী ও মনোযোগী হবেন। বিষয় সংশ্লিষ্ট নতুন ও বিস্তৃত তথ্য পাওয়ার জন্য আপনি উম্মুক্ত প্রশ্ন করতে পারেন। যেমন, ”আপনি ভদ্রলোকের সাথে কথা বলার সময় যে সমস্যায় পড়েছিলেন তার কোন উদাহরণ দিতে পারেন?” তবে হ্যাঁ বা না উত্তর হয় এমন প্রশ্ন বার বার করবেন না, এতে বক্তব্য অহেতুক বিলম্বিত হয় ।

মন্তব্য করুন এবং প্রশ্নের উত্তর দিন – কথা বলতে বলতে বক্তা যখন একটু থামেন একই বিষয়ের উপর ইতিবাচক মন্তব্য করতে পারেন। কিন্তু ভিন্ন বিষয়ে কিছু বলবেন না। তাতে বক্তা মনে করতে পারেন যে আপনি শুনছেন না। অথবা বক্তা যদি আপনাকে প্রশ্ন করেন তবে আপনার উত্তর তাকে বুঝতে সাহায্য করবে যে আপনি কতটা মনোযোগ দিয়ে তার কথা শুনছেন। আবার একনাগাড়ে কথা বলার পরিবেশ থেকে কিছুক্ষণের জন্য সরে আসার উদ্দেশ্যে নীরবও থাকতে পারেন। তাতে বক্তা অনেকক্ষেত্রে প্রসন্ন হন ।

খোলা মন নিয়ে শুনুন – অনেক সময় বক্তা আপনার প্রিয় পাত্র হতে পারেন, কিন্তু তার কথা শোনার সময় তাকে অন্ধের মত সমর্থন করবেন না। শ্রোতা হিসেবে অবশ্যই আপনাকে নিরপেক্ষ থাকতে হবে। অর্থাৎ তিনি যা বলছেন তার যথার্থ অর্থোদ্ধার করা দরকার। তিনি যা বলছেন এবং যা বলতে চাচ্ছেন তাই শুনুন এবং যা আপনার প্রয়োজন তা গ্রহণ করুন। সেখানে আপনার স্বাতন্ত্র্য যেন বজায় থাকে। আবার অনেক সময় অন্য লোকে বক্তা সম্বন্ধে ভাল বা মন্দ কিছু বলতে পারেন। সে কথায় আপনি বক্তাকে বিচার করবেন না। বক্তার বক্তব্য থেকে আপনি শুধু আপনার প্রয়োজনীয় তথ্যটুকু সংগ্রহ করবেন।

কাজ – দুই

দৈনিক সংবাদপত্র থেকে কোন রচনার কিছু অংশ নিয়ে আপনার বন্ধুকে একবার পড়তে বলুন। পড়া শেষ হলে আপনি পঠিত ঐ অংশের সারাংশ বা ব্যাখ্যা লিখুন।

 

Google news logo ভাল শ্রোতার বৈশিষ্ট্য এবং ভাল শ্রোতা হওয়ার কৌশল
আমাদের গুগল নিউজ ফলো করুন

 

সারসংক্ষেপ

শোনা ক্রিয়াটি কতগুলো মানসিক ও শারীরিক প্রক্রিয়ার উপর নির্ভরশীল। শরীর ও মনের পারস্পারিক ক্রিয়ার মধ্য দিয়েই শোনার কাজটি সম্পন্ন হয়। এক্ষেত্রে শব্দ গ্রহণ ও তা নিয়ে চিন্তা এ দুটি প্রক্রিয়ার সমন্বয় ঘটে। যা শুনি তা গ্রহণ করি না অর্থাৎ এটি কেবলই শোনা। আবার যখন মানস প্রক্রিয়া সচল করে তা বুঝি ও বিচার করি তখন অনুধাবন ও উপলব্ধি হয়। এ জন্য বক্তার অঙ্গ সঞ্চালন ও অভিব্যক্তি দেখা দরকার। বক্তা যা মুখে বলেন না, অথচ বলতে চান তা তার ভাবে প্রকাশ পায়। একজন ভাল শ্রোতা অপ্রকাশিত এই বক্তব্যও শুনতে পায়, তবে তা কান দিয়ে না মন দিয়ে ।

 

আরও পড়ুন….

Leave a Comment