আজকে আমাদের আলোচনার বিষয় মহাকাশে অভিযান
মহাকাশে অভিযান
মহাকাশে অভিযান
মহাশূন্যের হাতছানি কখনো ফিরিয়ে দিতে পারেনি মানুষ। রহস্যে ঘেরা অজানা এই মহাশূন্য নিয়ে মানুষের আগ্রহের কমতি নেই। তাই শিল্পীর ছবি থেকে শুরু করে পল্প-কবিতা সব জায়গায় আছে মহাশূন্যের কথা । তোমাদের মনে আছে তো, ছবি আঁকা, গল্প বা কবিতা লেখা কিসের উদাহরণ? মেধাশ্রম। কল্পনা করাও এক ধরনের মেধাশ্রম। অনেক লেখকই আছেন যারা কল্পকাহিনী লেখেন।
এসব কাহিনীতে আবার বিজ্ঞানের নানা বিষয় নিয়েও লেখা হয়। তাই এসব কাহিনীকে বলে কল্পবিজ্ঞান বা সায়েন্স ফিকশন। যারা কল্পবিজ্ঞান লেখেন তাদের বলা হয় কল্পবিজ্ঞান লেখক। তোমাদের মধ্যেও হয়তো অনেকে বড় হয়ে কল্পবিজ্ঞান লেখক হবে।
যারা কল্পনার নয়, সত্যি সত্যি মহাকাশে যান তাদের বলা হয় নভোচারী বা অ্যাস্ট্রোনট ।
নভোচারী হতে গেলে অনেক লেখাপড়া করতে হয়। সাথে সাথে বিভিন্ন কারিগরি কলাকৌশল জানতে হয়। শারীরিকভাবেও সুস্থ হতে হয়। অনেক দিন ধরে ট্রেনিং নিয়ে, অনেকগুলো পরীক্ষা দিয়ে সন্তোষজনক ফল করলে তবেই যাওয়া যায় মহাকাশে ।
সোহাগ ও সোনিয়া ভাইবোন। তারা বড় হয়ে নভোচারী হতে চার। তাই ওরা এখন থেকেই সুখম খাবার পাওয়া ও ব্যায়ামের মাধ্যমে সুস্থ সবল থাকা এবং পড়াশোনা ইত্যাদির প্রতি খুবই মনোযোগী।

নভোচারী ছাড়াও আমরা হতে পারি রকেট ইঞ্জিনিয়ার, মহাকাশ বিজ্ঞানীসহ আরো অনেক কিছু । এমনকি পৃথিবী ছাড়া অন্য গ্রহে মানুষ বসতি স্থাপন করতে চাইলে তাদের বাড়ি-ঘরের ডিজাইনার হতে পারি আমরা । এমনকি ভিনগ্রহের প্রাণীদের (এলিয়েন) জন্য পোশাকের ডিজাইনও করতে পারি আমরা। বেশ মজার ব্যাপার না? আচ্ছা তোমরা জানো তো মহাকাশে মানুষের অভিযান শুরু হয়েছিল কীভাবে?
মানুষের মহাকাশে উড়ার স্বপ্ন বহুদিনের। ১৯১২ সালে ব্রিটেন বেলুন ফ্লাইট চালু করেছিল। যদিও ব্রিটেনের সেvate চেষ্টা ব্যর্থ হয় । মহাশূন্যে পাঠানো প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহ হলো স্পুটনিক-১, যা ১৯৫৭ সালে তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন মহাকাশে পাঠায়। আচ্ছা ‘কৃত্রিম উপগ্রহ’ সম্পর্কে তোমরা কী জানো? পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করে এমন বস্তুকে পৃথিবীর উপগ্রহ বলা হয়। যেমন চাঁদ আমাদের পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করে তাই চাঁদ আমাদের উপগ্রহ।
চাঁদ তো আর মানুষ বানায়নি, তাই চাঁদকে বলা হয় প্রাকৃতিক উপগ্রহ। আর মানুষের তৈরি যেসব বস্তু পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করে সেগুলোকে বলে কৃত্রিম উপগ্রহ। তুমি চাইলে বড় হয়ে এসব কৃত্রিম উপগ্রহ বানাতে পারো। তবে সেজন্য তোমাকে এ বিষয়ে লেখাপড়া করতে হবে ।
কৃত্রিম উপগ্রহ খুবই প্রয়োজনীয় । এই যে আমরা টেলিভিশন দেখি, আবহাওয়ার খবর পাই, ইন্টারনেট ব্যবহার করি-এর অনেক কিছুই সম্ভব হয়েছে কৃত্রিম উপগ্রহের কারণে। ভূমি বড় হয়ে টেলিভিশন বা অন্য যোগাযোগ মাধ্যমের সম্প্রচার বিশেষজ্ঞও হতে পারো। আজকালকার দিনে এ সকল পেশার অনেক চাহিদা।
আরও দেখুন :