সভ্যতার অথযাত্রার মেধা ও কায়িক শ্রম

আজকে আমাদের আলোচনার বিষয় সভ্যতার অথযাত্রার মেধা ও কায়িক শ্রম

সভ্যতার অথযাত্রার মেধা ও কায়িক শ্রম

সভ্যতার অথযাত্রার মেধা ও কায়িক শ্রম

আমরা এখন নিজেদের সভ্য ও আধুনিক মানুষ হিসেবে দাবি করি । কিন্তু এ অবস্থানে আসতে পারি দিতে হয়েছে দীর্ঘ পথ । মানুষের মেধা ও শ্রমের যুগপৎ সম্মিলনে আমরা আজকের এ অবস্থানে পৌঁছাতে পেরেছি। সভ্যতার অগ্রযাত্রায় মানবজাতির মেধা ও কায়িকশ্রম উভয়ের ভূমিকাই গুরুত্বপূর্ণ । এসো তার কিছুটা আমরা জেনে নিই ।

দক্ষিণ এশীয় সভ্যতা

 

সভ্যতার অথযাত্রার মেধা ও কায়িক শ্রম

 

প্রাচীনকালে ভারতীয় উপমহাদেশের অংশ ছিল আমাদের আজকের এই স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ। এই উপমহাদেশের ইতিহাস অনেক প্রাচীন । অনুমান করা হয়। আজ থেকে প্রায় সত্তর হাজার বছর আগে এ অঞ্চলে মানুষ বসতি স্থাপন করেছিল। তারা পাহাড়ের গুহায় বসবাস করত । প্রাচীনকাল থেকেই আমাদের ভূমি খুব উর্বর । বনে-জঙ্গলে জন্মাত নানা ফলের গাছ।

 

সভ্যতার অথযাত্রার মেধা ও কায়িক শ্রম

 

সে সময়ে মানুষ ফলমূল সংগ্রহ করে তাদের ক্ষুধা নিবারণ করত । তারা কিন্তু সব ফল খেত না। তারা শিখেছিল কোন ফল খাওয়া যায় আর কোন ফল খাওয়া যায় না । তখন বসতি স্থাপন করা সহজ কোনো ব্যাপার ছিল না । বসতি স্থাপনের জন্য তাদের গুহা খুঁজে বের করতে হতো । কখনো কখনো তারা উঁচু ঢালে গুহা খনন করত । যথাযথভাবে গুহা খনন করা না হলে মাটি ধসে ক্ষতি, এমনকি মারা যাওয়ার আশঙ্কাও ছিল।

তাই গুহা খনন করাটা ছিল একটা বিশেষ দক্ষতা। কায়িকশ্রম ও মেধাশ্রমের যৌথ প্রয়োগে প্রাচীন মানুষ এ দক্ষতা অর্জন করেছিল । এছাড়া সে যুগের মানুষকে পানির কথাও ভাবতে হতো ।

 

গুগল নিউজে আমাদের ফলো করুন
গুগল নিউজে আমাদের ফলো করুন

 

পানি ছাড়া জীবন চলে না । তাই প্রাচীন সভ্যতা সাধারণত নদীর ধারে গড়ে উঠেছিল। এছাড়া নদীর দু’পাশের জমি বেশ উর্বর হওয়ায় সেখানে ফলের গাছ সহজে জন্মাত ।

এ ধরনের জায়গায় বসতি স্থাপন ছিল সুবিধাজনক। বসতি স্থাপনের জন্য এমন জায়গা তাদের নির্বাচন করতে হতো যা প্রাকৃতিক বিপদমুক্ত। আশেপাশে শিকার করার মতো প্রাণী ও ফলমূল ইত্যাদি সহজে পাওয়ার সুবিধা থাকার পাশাপাশি থাকতে হবে পানি। বুদ্ধি খাটিয়ে মানুষ এসব বুঝতে পেরেছিল । তাই বলা যায় বসতি স্থাপনের জন্য জায়গা নির্বাচন করা মেধাশ্রমের উদাহরণ । আবার জায়গা নির্বাচনের পর সেখানে বসতবাড়ি গড়ে তুলতে মানুষকে অনেক কায়িকশ্রম করতে হতো।

 

সভ্যতার অথযাত্রার মেধা ও কায়িক শ্রম

 

উপরের চিত্রে একজন মানুষ তার থাকার জায়গা তথা বাসস্থানের কথা চিন্তা করছে: চিন্তা করছে সে অনুযায়ী বাড়ি বানানোর । এর পাশাপাশি চিন্তা করছে বাড়িটি বানাতে কী কী উপাদান লাগবে। তারপর সে চিন্তা করে বের করবে এসব উপাদান কোথায় পাবে, কীভাবে সংগ্রহ করবে। এ সকল ভাবনা-চিন্তার কাজই হলো মেধাশ্রম ।

আবার বাড়ি বানানোর উপাদানগুলো সংগ্রহ করতে এবং বাড়ি বানাতে তাকে কায়িকশ্রম করতে হবে। এ থেকে আমরা বুঝতে পারি, এখন নয় বরং সেই প্রাচীনকাল থেকেই মানুষের দৈনন্দিন জীবনে কায়িকশ্রম ও মেধাশ্রম উভয়ই ছিল ।

নিচের চিত্রটি লক্ষ করো : এখানে কোথায় মেধাশ্রম ও কোথায় কায়িকশ্রম চিহ্নিত করো ।

 

সভ্যতার অথযাত্রার মেধা ও কায়িক শ্রম

 

আরও দেখুন : 

Leave a Comment