সামাজিক গণমাধ্যমে আচার আচরণ | Soft Skill Series

সামাজিক গণমাধ্যমে আচার আচরণ আজকের আলোচনার বিষয়। Social Media Etiquette [ সামাজিক গণমাধ্যমে আচার আচরণ ] বিষয়টি পেশাদারী জীবনের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আমারা অনেকেই জানিনা একজন সভ্য, সামাজিক ও পেশাদারী লোকের Social Media Etiquette [ সামাজিক গণমাধ্যমে আচার আচরণ ] কি হবে, কেমন হবে? অনেক সময় এই কারণে আমাদের কর্মস্থানের কর্মীদের সাথে সম্পর্ক নষ্ট হয়ে যায় বা লজ্জিত হতে হয়। তাই আমাদের আজকের এই ভিডিওটি করা। যার মাধ্যমে আপনি Social Media Etiquette [ সামাজিক গণমাধ্যমে আচার আচরণ ] সম্পর্কে যেনে নিজেকে তৈরি করতে পারবেন।

 

সামাজিক গণমাধ্যমে আচার আচরণ

সামাজিকীকরণ এমন একটি প্রক্রিয়া যে প্রক্রিয়ার মাধ্যমে মানব শিশু সমাজের একজন কাঙ্ক্ষিত পূর্ণাঙ্গ সদস্য হিসেবে গড়ে ওঠে। সমাজবিজ্ঞানী কিংসলে ডেভিসের মতে, “সামাজিকীকরণ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ব্যক্তি পুরোপুরি সামাজিক মানুষে পরিণত হয়।” সামাজিকীকরণ প্রক্রিয়া একটি জীবনব্যাপী এবং বহুমুখী প্রক্রিয়া। এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে একজন মানুষ পুরোপুরি সামাজিক মানুষ হিসেবে পরিণত হয়।

 

আগামীর স্বপ্ন

 

সামাজিকীকরণ ছাড়া ব্যক্তি তাঁর ব্যক্তিত্ব লাভে ব্যর্থ হয় এবং সমাজে সে একজন যোগ্য ও উপযুক্ত নাগরিক হিসেবে গড়ে উঠতে পারে না। সামাজিকীকরণ এমন একটি প্রক্রিয়া যার দ্বারা মানব শিশু ক্রমশ ব্যক্তিত্বপূর্ণ সামাজিক মানুষে পরিণত হয়। অগবার্ন নিমকফ বলেন, “সামাজিকীকরণ ছাড়া সমাজে জীবনযাপন একেবারেই সম্ভব নয় এবং সামাজিকীকরণ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ব্যক্তি তার গোষ্ঠীর সঙ্গে মেলামেশার সামাজিক মূল্য বজায় রাখে।”

সামাজিকীকরণের ক্ষেত্রে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ভূমিকা রয়েছে।

  • পরিবার: সামাজিকীকরণের প্রথম প্রতিষ্ঠান হলো পরিবার। পরিবারই শিশুর ব্যক্তিত্ব বিকাশের পথে বংশগতি কাঁচামাল জোগায়, সংস্কৃতি নকশা জোগায় এবং পরিবারে পিতা-মাতা কারিগর হিসেবে কাজ করেন। কারণ শিশুর দৈহিক, মানসিক, পার্থিব ও অপার্থিক যাবতীয় প্রয়োজন মেটায় পরিবার। কীভাবে কথা বলতে হবে, নিজের আবেগ কীভাবে প্রকাশ করা যায়, তা শিশু পরিবার থেকে শিক্ষালাভ করে। শিশু পরিবার থেকে অপ্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা লাভের পাশাপাশি প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাও গ্রহণ করে, পরিবার থেকেই একটি শিশু আচার-আচরণ, ধর্মীয় ও নৈতিক শিক্ষা গ্রহণ করে সমাজে একজন যোগ্য ও দায়িত্বশীল ব্যক্তি হিসেবে গড়ে ওঠে।
  • খেলার সঙ্গী: শিশুর সামাজিকীকরণে তার সঙ্গী বা খেলার সঙ্গীরা দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। শিশু তাঁর খেলার সঙ্গীদের সঙ্গে মেলামেশা করলে তার মধ্যে নেতৃত্ব দেওয়ার গুণাবলি পরিস্ফুট হয়। সে স্বাবলম্বী হতে শেখে।
  • ধর্ম: ধর্মীয় অনুশাসন মানুষের জীবনকে বিভিন্নভাবে প্রভাবিত করে। শৈশবকাল থেকে যে ব্যক্তি যে ধর্মে বিশ্বাসী সে ব্যক্তি সেই ধর্মীয় মূল্যবোধের মাধ্যমে লালিত হয় এবং সেই ধর্মীয় বৈশিষ্ট্যগুলো পরবর্তীকালে তার চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যে প্রতিফলিত হয়। ধর্ম মানুষকে সামাজিক মূল্যবোধ তথা সত্যবাদিতা, কর্তব্যপরায়ণতা, ন্যায়পরায়ণতা, সহমর্মিতা প্রভৃতি গুণে তার চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যে প্রতিফলিত হয়। ধর্ম মানুষকে সামাজিক মূল্যবোধ তথা সত্যবাদিতা, কর্তব্যপরায়ণতা, ন্যায়পরায়ণতা, সহমর্মিতা প্রভৃতি গুণে গুণান্বিত হতে শিক্ষা দেয়।

 

আমাদের গুগল নিউজে ফলো করুন
আমাদের গুগল নিউজে ফলো করুন

 

  • শিক্ষা প্রতিষ্ঠান: সামাজিকীকরণের ক্ষেত্রে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সমাজের সভ্য ব্যক্তিরা যাতে সামাজিক মূল্য, সামাজিক আদর্শ, সামাজিক অভ্যাসগুলো আয়ত্ত করতে পারে সেজন্য প্রত্যেক সমাজ প্রতিটি সভ্য ব্যক্তিকে নির্দিষ্ট ভূমিকা পালনের শিক্ষাদান করে। সমাজ তাঁর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে শিশু-কিশোরদের সংস্কৃতি সম্পর্কে জ্ঞানদান করে।
  • গণমাধ্যম: শিশুর সামাজিকীকরণের ক্ষেত্রে গণমাধ্যমগুলো গৌণ ভূমিকা পালন করে। গণমাধ্যমগুলোর মধ্যে রয়েছে, ম্যাগাজিন, বেতার, টেলিভিশন, সংবাদপত্র ইত্যাদি।
  • জাতিগোষ্ঠী ও প্রতিবেশী :নিজ পরিবার ব্যাতিত যাদের সাথে রক্তের সম্পর্ক রয়েছে তারাই আমাদের জাতিগোষ্ঠী।

 

সামাজিক গণমাধ্যমে আচার

 

সামাজিক গণমাধ্যমে আচার আচরণ নিয়ে বিস্তারিত :

 

আরও দেখুন :

Leave a Comment