ক্যারিয়ারে অগ্রগামী হওয়ার ১০টি ধাপ নিয়ে আলাপ করবো আজ। এই ১০ টি ধাপ আপনাকে অবশ্যই সবসময় মনে রাখতে হবে যদি আপনি ক্যারিয়ারে অন্যদের চেয়ে এগিয়ে থাকতে চান।
[ অগ্রগামী হওয়ার ১০টি ধাপ | ক্যারিয়ার ম্যানেজমেন্ট | শামস্ বিশ্বাস ]
[[[ ক্যারিয়ার ক্যাটালগ:
- ইন্টেরিয়র ডিজাইনে ক্যারিয়ার । ক্যারিয়ার ক্যাটালগ
- আর্কিটেক্ট পেশা । ক্যারিয়ার ক্যাটালগ
- প্লাষ্টিক সার্জন [ Plastic Surgeon ] ক্যারিয়ার গাইডলাইন
- কার্ডিয়াক সার্জন [ ক্যারিয়ার ক্যাটালগ ]
- ডেটা এনালিস্ট । ক্যারিয়ার ক্যাটালগ
- পেইন্টার পেশা [ Painter Profession ] ক্যারিয়ার ক্যাটালগ
- চার্টার্ড সেক্রেটারি । ক্যারিয়ার ক্যাটালগ
- ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট ক্যারিয়ার । ক্যারিয়ার ক্যটালগ
]]]
১. জীবনে অন্যদের মতামত:
লোকে আপনার নাম জানে, আপনার ইতিহাস নয়। তারা জানবে আপনি কি করেছন, এটা নয় যে আপনি কি চিন্তা করেন। অন্যদের মতামত নেন লবণ দানার সমান। তারা আপনাকে নিয়ে কি ভাবছে সে-টা নায়, আপনি আপনাকে নিয়ে কি ভাবছ সেটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিবেচ্য বিষয়। কখনও-কখনও শুধু মাত্র আপনি ঠিক করতে পারেন আপর জন্য সঠিকটা, যা অন্যরা কখনও পারবে না। তাই অপরের মুখাপেক্ষী না হয়ে শুধু মাত্র আপনিই ঠিক করুন আপনার জীবনের জন্য, আপনার ভবিষ্যতের জন্য কোনটা সব চেয়ে সঠিক।
২. অতীতের ব্যর্থতার জন্য লজ্জা:
আপনি কখনও ব্যর্থ হবে, এবং সে-টা হতেই পারে। কেঁদে কেটে বুক না ভাসিয়ে ব্যর্থতাকে মেনে নিয়ে সেটা থেকে শিক্ষা নিতে হবে দ্রুত। আপনার অতীত যথেষ্ট নয় আপনার ভবিষ্যতের জন্য। অতীতে কি হয়েছে, ভবিষ্যতে তার কি ফল বয়ে আনবে তা গুরুত্বপূর্ণ নয়। আপনি বর্তমানে কি করতে যাচ্ছেন তাই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
৩. কি চান তা নিয়ে দ্বিধাগ্রস্ত থেকেন না:
স্বেচ্ছায় নেওয়া সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসবে না। আপনার সিদ্ধান্তকে একটা একটা বাস্তব আকৃতি তৈরি করে তা বাস্তবায়ন করার জন্য নিজের সর্বচ্চো ক্ষমতা ব্যবহার করুন।
৪. লক্ষ্যে পৌঁছানোর ক্ষেত্রে দীর্ঘসূত্রিতা করবে না:
জীবনের সবক্ষেত্রে প্রাথমিক দুইটা পছন্দের মধ্যে যে কোন একটা বেছে নিতে হয়: হয় পরিস্থিতি আঁচ করে আগেভাগে সরে যাওয়া, না হয় দায়িত্ব নিয়ে বিশ্বস্ততার সাথে তা পালন করা। মনে রাখতে হবে, গাছ লাগানোর প্রথম সেরা সময়টা হল ২০ বছর আগে গাছের চারা রোপণ করা। আর দ্বিতীয় সেরা সময় হল আজ।
৫. ঠিক করুন কি করবে না:
আপনি কখনও ঠিক করতে পারবে না আপনি কি ভাবে কখন মারা যাবেন। শুধু ঠিক করতে পারবেন কি ভাবে বাঁচবেন। চাইলে এখনই। প্রতিটা দিনই এই সুযোগটা আছে নিজের মত করে বেছে নেওয়ার।
৬. থাকতে হবে সঠিক:
আপনি সঠিক পথে আছেন – আত্মবিশ্বাস থাকতে হবে যে আপনি আপনার বেছে নেয়া সঠিক পথেই আছেন। এক সময় দেখা গেল আপনি আত্মবিশ্বাস হারিয়ে ভাবছেন ভুল পথে আছেন। যখনই আপনার এমন মনে হবে, আপনি নতুন কিছু শেখার ক্ষমতা তো হারাবেনই এর সাথে জীবনে অগ্রগামী হওয়ার সম্ভাবনাটাও শেষ হয়ে যাবে।
৭. সমস্যা থেকে পালিয়েন না, মোকাবিলা করুন:
সমস্যা থেকে না পালিয়ে থামুন। সমস্যাটার সম্মুখীন হন। সমস্যাটার কেন্দ্রবিন্দু চিহ্নিত করুন, যোগাযোগ করুন, অনুধাবন করুন সমস্যাটা, তারপর ক্ষমা করে সহানুভূতিশীল হন যাদের জন্য এই সমস্যাটা হয়েছে।
৮. সিদ্ধান্তের তুলনায় অজুহাত তৈরি:
প্রায় দেখা যায় দীর্ঘমেয়াদি ব্যর্থতার ক্ষেত্রে মানুষজন অবস্থার উন্নতির জন্য সিদ্ধান্ত না নিয়ে সময় ব্যয় করে অজুহাত তৈরির পেছনে। এই ট্র্যাক থেকে বেরিয়ে না আসলে কখনও সফল হবে না।
৯. আপনার জীবনের ইতিবাচক দিকগুলো দেখা:
আপনি কি দেখেন, তা অনেকাংশে নির্ভর করে আপনি কি দেখতে চান। জীবনের কঠিন সময় চলছে তারপরেও আপনি এই ভেবে খুশি থাকতে পারেন আপনার জীবনের অনেক ভালো কিছু এখনও আপনার সাথে আছে।
১০. বর্তমান সময়ের মর্ম উপলব্ধি না করা:
আমরা মনে রাখি না দিনটা কে, মনে রাখি মুহূর্তটাকে। প্রায় আমরা উপলব্ধি করতে পারি না যে বড় কোন কিছু শুরু হয়েছি ক্ষুদ্র কোন কিছু থেকে। ভুলে যায় ‘ছোট ছোট বালু কতা, বিন্দু বিন্দু জল গড়ে তোলে মহাদেশ সাগর অতল’। জীবনের যাত্রাপথে প্রতিটা মূল্যবান মুহূর্তের সদ্ব্যবহার করলেই কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছান সম্ভব।
আরও পড়ুন: