অফিস পার্টির পাটিগণিত : অফিসের বিভিন্ন প্রয়োজনে কিংবা কোন উপলক্ষে আয়োজন করা হয় অফিস পার্টির। একটু বুদ্ধি খরচ করলেই সেই আনন্দ আয়োজনের মোচ্ছবকে নিজের কেরিয়ারের উন্নতির কাজেও লাগানো যায়। নির্মল আনন্দ আর ভবিষ্যতের আখের, সঞ্চয়ের দু’টি খাতেই কিছু জমা করা যায়। কিন্তু যে কোন ক্ষেত্রেই পারফর্ম করতে গেলে যেমন প্রাথমিক জ্ঞানগম্যি কিছু লাগেই, এক্ষেত্রেও তেমন কিছু জরুরি পরামর্শের ব্যাপার থাকছেই। সেগুলিই একে একে তুলে দেওয়া হল-
[ অফিস পার্টির পাটিগণিত | ক্যারিয়ার ম্যানেজমেন্ট | শামস্ বিশ্বাস ]
[[[ ক্যারিয়ার ক্যাটালগ:
- ইন্টেরিয়র ডিজাইনে ক্যারিয়ার । ক্যারিয়ার ক্যাটালগ
- আর্কিটেক্ট পেশা । ক্যারিয়ার ক্যাটালগ
- প্লাষ্টিক সার্জন [ Plastic Surgeon ] ক্যারিয়ার গাইডলাইন
- কার্ডিয়াক সার্জন [ ক্যারিয়ার ক্যাটালগ ]
- ডেটা এনালিস্ট । ক্যারিয়ার ক্যাটালগ
- পেইন্টার পেশা [ Painter Profession ] ক্যারিয়ার ক্যাটালগ
- চার্টার্ড সেক্রেটারি । ক্যারিয়ার ক্যাটালগ
- ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট ক্যারিয়ার । ক্যারিয়ার ক্যটালগ
]]]
১. হাতে কাজ থাকলেও অফিস পার্টিকে গুরুত্ব দিতে হবে। এই সব আয়োজনে কাজ আছে বলে না যাওয়াটা বোকামি। এতে অফিসের অনেকে বলবে ‘কাজ দেখাচ্ছে’। আবার কাজের অজুহাতে না যাওয়াটা এক প্রকার দৃষ্টতা। শুধু হাজিরা এবং খাওয়া-দাওয়ার পর কোনক্রমে পালিয়ে আসা নয়, সেখানে নিজের ভূমিকা নিয়েও যথেষ্ট চিন্তা-ভাবনা করতে হবে। বাড়াতে হবে আন্তরিকতা।
২. নির্দিষ্ট সময়ের একটু আগেই পার্টিতে যোগ দিন। দেরি না করাটাই শ্রেয়। খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে লক্ষ করুন প্রত্যেকের চাল-চলন, কথাবার্তা। এইগুলি ভবিষ্যতে আপনার কাজে লাগবে।
৩. প্রত্যেকের সঙ্গে সহজ-সরলভাবে মেলামেশা চেষ্টা করুন। গুরুত্ব দিন সবাইকে- কথা বলুন হাসিমুখে, আন্তবিশ্বাসের সঙ্গে। যথাসম্ভব ‘মানবিক’ হয়ে ওঠার চেষ্টা করুন।
৪. ভালো না লাগলেও আনাচে-কানাচে আত্নগোপন করবেন না, সকলের চোখের সামনেই থাকুন। এমন কোন জায়গায় দাঁড়াবেন বা বসবেন, যেখান থেকে বেশির ভাগ সময় আপনার দিকেই লোকের চোখ পড়ে।
৫. ফার্স্ট ইমপ্রেশন ইজ দ্য লাস্ট ইমপ্রেশন- কথাটা মনে রাখার চেষ্টা করুন। পার্টিতে অনেকের সঙ্গেই হয়তো প্রথমবার পরিচিত হবেন। সেক্ষেত্রে এমন ভাবে নিজেকে মেলে ধরুন, যাতে তাঁরা বহুদিন পরেও আপনাকে মনে রাখতে পারে। সুন্দর পরিচ্ছন্ন পোশাক পরুন। মনে রাখবেন, আপনি যেমন অন্যদের দেখছেন, অন্যরা কিন্তু আপনার দিকে নজর রাখছে।
৬. এই সব অনুষ্ঠানে কখনও খুব বেশি চুপচাপ থাকবেন না। দেশ-বিদেশে সাম্প্রতিককালে কোথায় কী ঘটছে, সেই স¤পর্কে যথাসম্ভব আপ-টু-ডেট থাকুন। সেই সম্পর্কে কথা বলার চেষ্টা করুন। দেখবেন, আপনার ঊর্ধ্বতনদের নজরে পড়ছেন সহজে।
৭. কথাবার্তায় আমিত্বকে যথাসম্ভব পরিহার করুন। বরং সুযোগ বুঝে অন্যের অসুবিধা বা সমস্যা শোনায় মন দিন। তাঁদের সঙ্গে অন্তরঙ্গ হওয়ার চেষ্টা করুন।
৮. কথাবার্তা বলতে গেলে সাময়িক বিতর্ক বাধতে পারে। কিন্তু মনে রাখবেন, মতান্তর মানেই মনান্তর নয়। অন্যের যুক্তিও মন দিয়ে শুনবেন। নিজের যুক্তি, তা আপনার কাছে যত জোরালো বলেই মনে হোক না কেন, জোর করে অন্যকে তা মানতে বাধ্য করবেন না।
৯. নিজের কোন বাড়তি প্রতিভা যেমন: গান-বাজনা, অভিনয়, ম্যাজিক দেখানোর ইত্যাদি থাকলে তা মেলে ধরার চেষ্টা করুন। কিন্তু মেলে ধরার জন্য আবার লালায়িত হবেন না। নিজেকে মেলে ধরতে গিয়ে কখনওই খুব সস্তা কিছু করবেন না। এমন কিছু করবেন না, লোকের কাছে আপনি হাস্যাস্পদ হয়ে ওঠেন।
১০. সবজায়গায় কিছু লোকজন থাকে যাঁরা ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে কথাবার্তা বলতে পছন্দ করেন। তবে আপনি ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে আলোচনা করবেন কি না তা আপনার ব্যক্তিগত ব্যাপার। তবে অস্বস্তি হলে এড়িয়ে চলুন কথাবার্তা, হাবভাবে বুঝিয়ে দিন যে আপনি প্রসঙ্গটি পছন্দ করছেন না।
১১. কখনওই আবেগবিহ্বল হয়ে নিজের ক্ষোভ বা দুঃখ অন্যের কাছে ব্যক্ত করতে যাবেন না। তাতে ভবিষ্যতে আপনি বিপদে পড়তে পারেন।
১২. নিজের পকেটে অবশ্যই বিজনেস কার্ড রাখুন। দরকারে সুযোগ বুঝে যথাসময়ে তা যথাযথ লোকের পকেটে চালান করুন।
আরও পড়ুন: