আজকে আমাদের আলোচনার বিষয় ক্যারিয়ারের সফলতায় সম্পর্ক স্থাপন
Table of Contents
ক্যারিয়ারের সফলতায় সম্পর্ক স্থাপন
ক্যারিয়ারের সফলতায় সম্পর্ক স্থাপন
ক্যারিয়ার গঠন তথা জীবনে সাফল্যের জন্য অবশ্যই বিভিন্ন ব্যক্তির সাথে সম্পর্ক স্থাপন করতে হবে। বর্তমান পৃথিবীতে অনেক চাকরি অভ্যন্তরীণভাবে হয়ে থাকে অর্থাৎ পত্রিকায় বিজ্ঞাপন না দিয়ে পরিচিত প্রার্থীদের সাক্ষাৎকার বা পরীক্ষার মাধ্যমে নিয়োগ দেওয়া হয় । এভাবে দীর্ঘ নিয়োগ প্রক্রিয়ার খরচ বাঁচায় প্রতিষ্ঠানগুলো ।
তাই জীবনে চলতে-ফিরতে পরিচিত হওয়া বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সাথে সব সময় যোগাযোগ রক্ষা করা দরকার। কে, কখন, কোন কাজের খবর দিতে পারে তা আগে থেকে বলা যায় না । তাই ক্যারিয়ারের ও সামাজিকতার স্বার্থে পারস্পারিক যোগাযোগ অপরিহার্য ।
এখন দেখি ক্যারিয়ারে সফল হতে হলে চাকরি পাওয়ার আগে এবং চাকরিরত অবস্থায় কাদের সাথে আমাদের সম্পর্ক স্থাপন করতে হবে:
১. আশপাশে এবং স্কুল-কলেজে পরিচিত জন ;
২. কোনো অনুষ্ঠান বা সামাজিক সম্মেলনে নতুন পরিচিতমুখ
৩. আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধুবান্ধব;
৪. অফিসের সকল পর্যায়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারী;
৫. প্রতিষ্ঠানের মানবসম্পদ বিভাগের কর্মকর্তাগণ;
৬. কর্মরত প্রতিষ্ঠানের গ্রাহক;
৭. ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।
ব্যবসায়-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে যাদের সাথে সম্পর্ক স্থাপন করতে হয়-
১। আত্মীয়-স্বজন, বন্ধুবান্ধব, পাড়া প্রতিবেশী;
২। নিজ প্রতিষ্ঠানের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী;
৩। গ্রাহক ;
৪ । ব্যবসায় অন্য যে সকল পণ্য বা সেবা প্রতিষ্ঠানের উপর নির্ভরশীল সে সকল প্রতিষ্ঠানের কর্তাব্যক্তি;
৫। স্থানীয় উদ্যোক্তা;
৬। স্থানীয় সরকারি প্রশাসন;
৭ । বিজ্ঞাপন প্রচারকারী ও গণমাধ্যম।
সম্পর্ক স্থাপনে করণীয় :
- আন্তরিকতার সাথে কুশল বিনিময়
- দেখা হলে কিছুটা সময় একসাথে আলাপ-আলোচনা করা ;
- বিপদে-আপদে পরিচিতজনদের খোঁজ-খবর নেওয়া
- সাধারণ আগ্রহের বিষয়ে সব সময় কথা বলা ব্যক্তিগত কিন্তু গোপনীয় বা স্পর্শকাতর নয় এমন বিষয়ে কথা বলা
- হাসিখুশি থাকা এবং কথায় ও কাজে আন্তরিকতা প্রকাশ করা;
- সামাজিক উৎসব এবং অনুষ্ঠানে খোঁজ-খবর নেওয়া ও শুভেচ্ছা বিনিময়
- সমস্যায় পড়লে সাহায্য করা;
- সম্পর্কের ক্ষেত্রে সততা, নিয়মানুবর্তিতা ও গোপনীয়তা বজায় রাখা ।
ঘটনা : জামান সাহেব এবং আজহার সাহেব একই অফিসে দীর্ঘদিন যাবৎ চাকরি করছেন। তাদের দুজনের মধ্যে যথেষ্ট ভালো সম্পর্ক বিদ্যমান। অফিসের পাশাপাশি ব্যক্তিগত জীবনেও তাদের একে অপরের বাসায় যাতায়াত আছে। এই তো সেদিনই জামান সাহেবের মেয়ের জন্মদিনের দাওয়াতে গিয়েছিলেন আজহার সাহেব। পরস্পর ভালো সম্পর্ক থাকলেও তাদের আচরণগত কিছু পার্থক্য রয়েছে।
জামান সাহেব কাজে কোনো প্রকার ফাঁকি দেন না। সময়মতো সব কাজ করে তিনি জমা দেন। তিনি ঊর্ধ্বতন-কর্মকর্তার সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রক্ষা করেন। তাকে কীভাবে, কখন সহায়তা করবেন সে বিষয়ে জামান সাহেব অভি সতর্ক। অধঃস্তন কর্মকর্তাদের সাথেও তার সম্পর্ক খুব ভালো। অন্যদিকে আজহার সাহেব অত্যন্ত স একজন কর্মকর্তা হিসেবে অফিসে সুপরিচিত। কোনো দিন তার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ কেউ পায়নি ।

তিনি অফিসে দেরি করে আসেন নি। সহকর্মীদের সাথে তার সুসম্পর্ক রয়েছে। সাধারণত চায়ের আড্ডাগুলোতে তাকে খুব একটা মুখর হিসেবে দেখা যায় না। যে ঊর্ধ্বতন-কর্মকর্তার অধীনে তিনি কাজ করেন তার সাথে তিনি সর্বক্ষণ যোগযোগ করেন এমন নয়। তবে প্রতিদিন সব কাজ ঠিকমতো করে জমা দেন। একদিন সবাই শুনতে পেল জামান সাহেবের পদোন্নতি হয়েছে।
আরও দেখুন :