চাকরি খোঁজা ও দরখাস্ত লিখন ( বাংলা ও ইংরেজি) আমাদের আজকের আলোচনার বিষয়। এই পাঠটি “বাউবি এসএসসি ২৩৫৮ ক্যারিয়ার শিক্ষা” এর “কর্মক্ষেত্র নির্বাচন এবং ক্যারিয়ার উন্নয়ন” ইউনিট ৪ এর অন্তর্ভুক্ত।
চাকরি খোঁজা ও দরখাস্ত লিখন ( বাংলা ও ইংরেজি)
একটা নির্দিষ্ট শিক্ষা জীবন শেষে কর্মে নিয়োজিত হওয়ার জন্য চাকরি খোঁজা অপরিহার্য হয়ে পড়ে। সেজন্য সরাসরি অর্জিত শিক্ষার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ কাজে যোগদান করার জন্য পত্রিকা বা Website-এ চাকরির বিজ্ঞপ্তি খুঁজতে হবে এবং তদানুযায়ী আবেদন করতে হবে। চাকরি খোঁজা এবং বাংলা ও ইংরেজিতে দরখাস্ত লেখার নমুনা উপস্থাপন করছি।
চাকরি খোঁজা : একটা নির্দিষ্ট স্তরের পড়ালেখা শেষে কর্মসংস্থানের জন্য চাকরি খুঁজতে হয়। চাকরি খোঁজার জন্য দৈনিক পত্রিকাগুলোর সহায়তা নেয়া যায়। কেননা কোনো না কোন পত্রিকায় একাধিক চাকরির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। এছাড়াও চাকরির খবর ও চাকরির বিজ্ঞাপন নামে দুটো সাপ্তাহিক পত্রিকা প্রকাশিত হয়। দৈনিক প্রথম আলো চারি-বারি, দৈনিক সমকাল চাকরি নিয়ে সাপ্তাহিক বিশেষ সংখ্যা বের করে। ইন্টারনেট-এ রয়েছে প্রচুর ওয়েব সাইট যেখানে ক্লিক করলেই পাবেন হাজারো চাকরির খবর। এখানে কয়েকটি জব সাইট দেয়া হলো ।
কোন পদে নিয়োগ প্রাপ্তির জন্যে যে আবেদনপত্র রচনা করা হয় তাকে চাকরির আবেদনপত্র বা দরখাস্ত বলে। চাকরির ক্ষেত্রে ভাষা দক্ষতা একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক। তাই আবেদনপত্র সুলিখিত ও প্রয়োজনীয় তথ্য সম্বলিত না হলে কিংবা অসম্পূর্ণ হলে তা প্রার্থীর চাকরি লাভের ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। পক্ষান্তরে সুন্দর, নির্ভুল, সুলিখিত দরখাস্ত চাকরিদাতার নজর কাড়ে। চাকরির আবেদনপত্রে প্রয়োজনীয় সকল তথ্য থাকা দরকার। চাকরির দরখাস্ত লিখতে গেলে নিম্নলিখিত দিকগুলো বিবেচনায় রাখতে হয়।
১. প্রাপকের নাম-ঠিকানাঃ প্রাপকের নাম ঠিকানা অংশে নিয়োগ কর্তার পদ ও নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানের ঠিকানা লিখতে হয়। অনেক সময় বিজ্ঞপ্তিদাতা প্রতিষ্ঠান সরাসরি ঝামেলা এড়াতে বা গোপনীয়তা রক্ষা করে প্রার্থী বাছাইয়ের জন্যে পোস্ট বক্স নম্বরে কিংবা কোনো পত্রিকার মাধ্যমে আবেদনপত্র আহ্বান করে। ঐ রকম ক্ষেত্রে পোস্ট বক্স নম্বর উল্লেখ করে আবেদন করতে হয়। যেমন-
বিজ্ঞাপনদাতা
পোস্ট বক্স নম্বর: ৭৭৭৭
প্রযত্নে: দৈনিক ইত্তেফাক
চট্টগ্রাম ।
২. বিষয়: প্রাপকের নামের পর বিষয় হিসেবে যে পদে আবেদন করা হচ্ছে তা উল্লেখ করতে হয়।
৩. সম্বোধন: আনুষ্ঠানিক সম্বোধন হবে জনাব বা মহোদয় কথাটি দিয়ে।
৪. আবেদনের সূত্রঃ পত্রিকা মারফত নিয়োগদানের খবর জানা গেলে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের তারিখসহ সংশ্লিষ্ট পত্রিকার সূত্র উল্লেখ করে, আর তা না হলে, বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেলে সে কথা জানিয়ে আবেদনপত্রের মূল বিষয়বস্তু শুরু করতে হয়।
৫. আবশ্যিক তথ্য: আবেদনপত্রে আবেদনকারীর পূর্ণ নাম, বাবা-মায়ের নাম, স্থায়ী ঠিকানা, বর্তমান ঠিকানা, জন্ম তারিখ, নাগরিকত্ব, শিক্ষাগত যোগ্যতা ইত্যাদি সম্পর্কে যথাযথ তথ্য সন্নিবেশ করতে হয়।
৬. অতিরিক্ত তথ্য: অতিরিক্ত কোনো প্রশিক্ষণ কিংবা অতিরিক্ত যোগ্যতা বা অভিজ্ঞতা থাকলে তাও উল্লেখ করা প্রয়োজন ।
৭. সংযুক্তি: দরখাস্তের শেষে আবেদনপত্রে বর্ণিত তথ্যের প্রামাণ্য দলিল হিসেবে বিভিন্ন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার সনদপত্র, প্রাপ্ত নম্বর, প্রশংসাপত্র, নাগরিকত্ব সম্পর্কিত সনদ, অতিরিক্ত যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা সংক্রান্ত প্রত্যয়নপত্র ইত্যাদির সত্যায়িত ফটোকপি গেঁথে দিতে হয়। কী কী প্রামাণ্য কাগজ দেওয়া হল তার বিবরণ সংযুক্তি অংশে ক্রমানুসারে উল্লেখ করতে হয়। বাংলা ও ইংরেজি যে কোনোভাবে দরখাস্ত লিখতে হলে উপরোক্ত বিষয়গুলো খেয়াল রাখতে হবে।

সারসংক্ষেপ
চাকরিকে বলা হয় সোনার হরিণ। লেখা পড়া ও প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে নিজেকে উপযুক্ত করতে না পারলে সোনার হরিণের মতো চাকরিকেও পাওয়া যাবেনা। তাই চাকরির বিজ্ঞপ্তি ছাপা হয় এমন পত্রিকা সংগ্রহ করতে হবে এবং Website-এও ক্লিক করতে হবে। চমৎকারভাবে আবেদনপত্র লেখার যোগ্যতা অর্জন করতে হবে।
আরও পড়ুন….