নিউমেরো উনো – হতে গেলে : চাকরির বাজার খুব একটা সুবিধার নয়। আশঙ্কা, এই পরিস্থিতি আরও কিছুদিন চলবে। ফলে কেরিয়ারে সফল হওয়ার জন্য আপনার চাবিকাঠি ‘নিউমেরো উনো’। অর্থাৎ, এক নম্বর হওয়া। লিখছেন চাকরির বাজারে কখনোসখনো মন্দা হয়। সেই কথা মাথায় রেখে বর্তমানে যে জায়গায় চাকরি করছেন, সেখানে অসুবিধায় পড়তে পারেন এমন কিছু করবেন না। বরং পাখির চোখে দেখুন, পরিকল্পনা করুন কীভাবে সাফল্যের সিঁড়ি বেয়ে ওপরে উঠতে পারেন। কেরিয়ারের জন্য বেশি সময় ব্যয় করুন। সঠিক সিদ্ধান্ত নিন। নতুন লক্ষ্য বাছুন। নতুন চ্যালেঞ্জের জন্য সবসময় তৈরি থাকুন। কাজে লেগে থাকার ক্ষমতা অর্জন করুন। তাহলেই দেখবেন আপনার কাজ, পারফরম্যান্স আপনার পরিচয় হয়ে উঠবে। আপনি কাজের জায়গায় হয়ে উঠবেন ‘নিউমেরো উনো’ বা এক নম্বর।
Table of Contents
নিজেকে চিনুন
আপনার পেশার ক্ষেত্রে কয়েকটা বিষয় আপনার আয়ত্ত্বে। কিন্তু নিউমেরো উনো হতে গেলে এই সুবিধের আর স্বাচ্ছন্দ্যের জায়গাগুলো থেকে একটু বেরোতে হবে। একই ক্ষেত্রের অন্য দিকগুলো নিয়ে কাজ করুন। তাহলে আপনার কাজটা আপনার আয়ত্তে রইল। আবার নতুনের ছোঁয়াও লাগল আপনার একঘেয়ে কাজে। সুবিধে হল, আপনি অলরাউন্ডার হয়ে উঠলেন। আজকালকার এই কঠিন র্যাট রেসের যুগে অলরাউন্ডার হওয়াটা দরকারি।
একইসঙ্গে কোন কাজটা আনন্দ দিচ্ছে দেখুন। ভালো লাগার কাজটা করতে আপনার উৎসাহ বেশি থাকবে, তাই সময়ও কম লাগবে।
আপনার কর্মক্ষমতা, অক্ষমতা আর পারদর্শীতার ওপর নির্ভর করে আপনার লক্ষ্য বাছুন। লক্ষ্য যেন বাস্তব আর সম্ভব হয়। বুনো হাঁসকে ধাওয়া করার মতো কোনও অসম্ভবকে ছোঁয়ার চেষ্টা করবেন না।
সাফল্যের সিঁড়ি
গোঁড়ামি বাদ দিন। নমনীয় হন। পরিবর্তনের সঙ্গে পা মিলিয়ে চলার মতো কাজের স্ট্র্যাটেজি তৈরি করুন। পরিকল্পনায় ফ্লেক্সিবিলিটি আনুন। না হলে রদবদল হলেই ধসে পড়বে আপনার পুরো প্ল্যানিং।
যোগাযোগ বাড়ান। নেটওয়ার্কিং-এর যুগে এটা খুব একটা সময়সাপেক্ষ নয়। কারণ কোন সূত্র ধরে যে সুযোগ আসবে, তা হয়তো আপনিও জানেন না। বসের সঙ্গে আলোচনা করুন। আপনার ভবিষ্যতের প্ল্যান বা নতুন কোনও আইডিয়া। উনি আপনাকে উপদেশ দিতে পারেন। সেটা কাজে লাগান।
নিউ ইয়ার রেজোলিউশনের মতো কেরিয়ার সংক্রান্ত যাবতীয় ভাবনাচিন্তা ভুলে যাবেন না। লক্ষ্য স্থির করুন। তারপর রেজোলিউশন নিন …।
আপনি যে লক্ষ্যে পৌঁছতে চান তাকে কয়েক ধাপে ভাগ করুন। একটা একটা করে ধাপ পেরোন। দেখবেন, এতে আপনার আত্মবিশ্বাস বাড়ছে। কাজ করার উৎসাহও পাচ্ছেন। সামগ্রিকভাবে পুরো কাজটা দেখলে আপনার অসম্ভব মনে হবে। পর্বত অতিক্রম করতে হবে বলে মনে হতে পারে। তাই যাত্রাপথ ধাপে ধাপে ভেঙে নেওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ হবে।
‘হাল ছেড়ো না বন্ধু’ এই মন্ত্র আপনার কর্মক্ষেত্রেও কাজে লাগবে। আপনার কাজে বহু প্রতিকূলতা আসবে। অপেক্ষা করুন। কিন্তু হাল ছাড়বেন না।
সিদ্ধান্তে অনড় থাকুন
চাকরি ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্তে পৌঁছনোর আগে ভাবুন। বারবার ভাবুন। ছেড়ে দেওয়ার কারণ ভাবুন। রয়ে যাওয়ার কারণ ভাবুন। কিন্তু সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর ভাববেন না। নাঃ! একবারও ভাববেন না। ‘ভাবিয়া করিও কাজ, করিয়া ভাবিও না’।
তৈরি থাকুন
রেসের ঘোড়ার মতন সবসময় চর্চায় থাকুন। রেডি থাকুন। যে কোনও দিন আপনার ইন্টারভিউ কল আসতে পারে। নতুন কোম্পানিগুলো সম্বন্ধে তথ্য সংগ্রহ করুন, যতটা সম্ভব। হোমওয়ার্ক করে রাখুন। সেটাই শ্রেয়।
বাকি নিউ ইয়ার রেজোলিউশনের মতন, কেরিয়ার সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত উড়িয়ে দেবেন না। নিজেকে একটু সময় দিন। চিনে নিন। তারপর রেজোলিউশন তৈরি করুন। কেরিয়ার নিয়ে সিরিয়াস হোন। নতুন ছোঁয়া আনুন একঘেয়ে কর্মক্ষেত্রে। ইনোভেটিভ ভাবনা থাকলে কাজে লাগান। তাহলে এই মন্দার বাজারেও আপনিই চ্যাম্পিয়ন। নিউমেরো উনো।
আরও পড়ুন: