সহকর্মী ব্যবস্থাপনা | ক্যারিয়ার ম্যানেজমেন্ট | শামস্ বিশ্বাস : কাজে ভালো হলেও অনেক সময় সহকর্মীদের সাথে ‘রসায়ন’টা ঠিক জমাতে না পারায় অনেকেই পড়তে হয় বিড়ম্বনায়Ñ উজ্জ্বল ক্যারিয়ারে গ্রহণ লেগে যায়। বসের মেজাজ মর্জির উপরে আপনার ‘রুটি এবং ছুটি’ যেমন নির্ভর, সহকর্মীদের হাতে কিন্তু তেমন নয়। মানে, প্রত্যক্ষ ভাবে আপনার ভাগ্য নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা তাঁদের নেই। তাই বলে একেবারে ফেল না এরা নয়। কে বলতে পারে, কি থেকে কি হয়ে যায়। তাই কলিগদের ম্যানেজ করতে হয়। কর্মস্থলে কী করে সহকর্মীদের সঙ্গে ভাল সম্পর্ক বজায় রাখবেন? কর্মরত সকলের মনেই এই একই প্রশ্ন।
এই নিয়ে চিন্তিতও অনেকে। চিন্তার কোনও কারণ নেই। সামান্য কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখলে এই চিন্তা থেকে মুক্তি পাবেন। তার আগে জেনে জেনে নিন-
Table of Contents
সহকর্মী ব্যবস্থাপনা
সহকর্মী কয় প্রকার ও কী কী?
বোকা সহকর্মী:
প্রধান ‘গুণ’ অকর্মণ্যতা। যে কোনও দোষ তাদের উপর সহজে চাপিয়ে দেওয়া যায়। নূন্যতম সংশ্লিষ্টতা নেয় তেমন দোষ তাদের উপর চাপালেও কেউ কিছু বলবে না। যে কোনও অফিসে কর্মস্থলে এমন সহকর্মী থাকাটা খুব দরকারি। আপনার জন্য প্রচণ্ডই কাজের তাই দেখবেন – যেন কোনোভাবেই তাদের চাকরি না যায়।
শত্রু সহকর্মী:
কর্মক্ষেত্র আর যুদ্ধক্ষেত্রের মধ্যে কোনও তফাত নেই। যে কোন ইস্যুতে সহকর্মী ‘শত্রু’ হয়ে যেতে পারে। ল¤॥^া সময় এক সাথে কাজ করার পরেও পিছন থেকে ছুরির আঘাত দিতে পারে। হতে পারে, তারা সবাই কাজের জায়গায় আপনার থেকে ভালো পারফর্মার। বসের সাথে সম্পর্ক খুবই ভালো। তাই বলে আপনি এমনি এমনি এই পজিশনে আসেনি। তাই সবার প্রথম নিজের দায়িত্ব সঠিকভাবে পাল করুন এবং এই ধরণের সহকর্মীদের জন্য সব সময় নিজের চারিদিকে প্রতিরক্ষাবুহ্য তৈরি করে রাখুন।
রাগী সহকর্মী:
রাগী মানেই কিন্তু খারাপ নয়। তবে তারা পান থেকে চুন খসলেই রেগে যান। তখন আর কিছুতেই তাকে সামলানো যায় না। তাই এধরণের সহকর্মীদের টেম্পার বুঝে চলুন। ঠাণ্ডা মাথায় বুঝিয়ে বলুন আপনার সমস্যাটা। চেঁচামেচি করবেন না। আপনি যদি রেগে যান তাহলে পরিস্থিতি ক্রমশ খারাপ হতে থাকবে। তৎক্ষণাৎ বোঝানো সম্ভব না হলে সে সময়ের মতো চুপ করে যান। পরে তার মেজাজ ঠাণ্ডা হলে আপনার মতামত বা বক্তব্য বুঝিয়ে বলুন।
নির্লিপ্ত সহকর্মী:
সবার সঙ্গে সম্ভাব থাকলেও আগ বাড়িয়ে কিছু করতে ইচ্ছুক নন। কোনও কিছুতেই তার ইন্টার্যাক্ট নেয়। এ ধরনের সহকর্মীর সঙ্গে বেশি করে কথা বলুন। না হলে তিনি কী ভাবছেন, কী চাইছেন, কিছুই বুঝতে পারবেন না। হতে পারে, বিভিন্ন কারণে, তিনি আপাত নিঃস্পৃহ। কিন্তু আসল ঘটনা হয়তো এই যে, সবার মতো তিনিও ভীষণ অ্যাটাচড সহকর্মীদের সঙ্গে।
নিঝঞ্ঝাট সহকর্মী:
আপনার জন্য একেবারেই ভয়ের জিনিস নন। তারা আপনাকে পছন্দ করে। আপনি তাদের সাথে খেতে যান। সহজে যে কোনও বিষয়ে ফান করতে পারেন। নির্দ্বিধায় অফিস নিয়ে গসিপ করতে পারেন। তবে, কোনও আশা রাখবেন না। আপনাকে যদি কোনও কারণে চাকরি হারাতে হয়, আপনার এই ধরণের সহকর্মী আপনার পাশে এসে দাঁড়াবেন না। বড়জোর, আড়ালে এসে সহানুভূতি প্রকাশ করতে পারে। তাই এদের সাথে সম্পর্ক খারাপ হলেও, তা নিয়ে আপনার মাথা ঘামানোর দরকার নেই। ভালো না লাগলে এড়িয়ে চলতে পারেন।
ফাঁকিবাজ সহকর্মী:
কাজ নয়, ফাঁকিবাজি – নানা কায়দায়, নানা অছিলায় তাদের ফাঁকি চলছে, চলবে। অফিসে আপনি কলুর বলদের মত খাটবেন আর তারা আড্ডা মেরে সময় পার করবে। শুধু কাজ নয়, অকাজের বোঝাও আপনার ওপর চাপিয়ে নিশ্চিন্তে বসে বসে ফেসবুকিং করবে। এদের লাইনে আনতে, রিভার্স রোল প্লে করুন। অর্থাৎ আপনি তাদের ওপর সব কাজের ভার চাপিয়ে উধাও হয়ে যান। অফিস আওয়ার শেষ হওয়ার আগে ফিরে আসুন। একদিন কাজ নিয়ে হিমশিম খেলেই বুঝতে পারবে আপনাকে কতাটা পেরেশানিতে ফেলে।
তাঁবেদার সহকর্মী:
এই ধরণের সহকর্মীরা কারণে নয়, অকারণে বসের খুব ঘনিষ্ঠ। নানা ছুতোয় তারা বসের ‘তাঁবেদারি’ করে যায় এবং তারা যে বসের খুব ‘কাছের লোক’ এটা নানান বাহানায় সময়অসময় বোঝাতে চায়। এ ধরণের সহকর্মীরা অত্যন্ত বিরক্তি উদ্রেককারী। কিন্তু, তার পরেও তাঁদের কোনোভাবেই চটানো যায় না। এদের সহ্য করে বন্ধু বানিয়ে রাখলে যে কোনও দিন কাজে লেগে যেতেই পারে। কিন্ত্ত মনে রাখবেন, এই ধরণের সহকর্মীরা আপনার ‘আসল বন্ধু’ নয়।
নেতিবাচক সহকর্মী:
এক কথায় এদের এড়িয়ে চলুন। না হলে আপনিও কিছুদিন পর নেগেটিভ চিন্তা করবেন। এই ধরণের সহকর্মীরা সারাক্ষণ ভাঙা রেডিওর মত হতাশার সুরে বেজে যায়- ‘এ চাকরিটা করে কিছুই হবে না – না ভাত, না ভিক্ষা! যতই খেটে কাজ কর হোক না কেন বসের প্রিয় পাত্রেরই উন্নতি হবে।’
অতি আত্মবিশ্বাসী সহকর্মী:
এ ধরণের সহকর্মীরা ঝাঁপিয়ে পড়ে সব কাজে সাহায্য করেন। কিন্তু সমস্যাটা হল অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস। এ জন্য প্রায় সব কাজই তিনি শেষ সময়ের জন্য ফেলে রাখেন এবং অবধারিতভাবে সময়মত কাজ শেষ করতে পারেন না। ফলে শেষ মুহূর্তে আরও অনেককেই সেই কাজে হাত লাগাতে হয়।
সহকর্মী হিসেবে এমনিতে ভালোই। তাই বিষয়টা নিয়ে সরাসরি কথা বলুন। আপনি কোনও সাহায্য করলে তার কাজ করতে সুবিধা হবে কি না জেনে নিন।
সিনিয়রদের সাথে যেভাবে চলবেন
সাধারণত একটি প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন বয়সের কর্মজীবী থাকে। যাদের কারো বয়স হয় অনেক বেশি কারো বা কম। এদের সকলের রয়েছে ভিন্ন ভিন্ন মানসিকতা। চাকুরীর বয়স কিংবা কর্মদক্ষতার কারণে কারো অবস্থানের থাকে প্রাতিষ্ঠানিক অরগানোগ্রাম অনুযায়ী উপরে কারো বা নিচে। স্বাভাবিকভাবেই বয়সের কারণে বয়েজেষ্ট এবং পুরনো কর্মরতদের সাথে নতুন বা কমবয়ষ্কদের মাঝে একটা মানসিক দৃরত্ব কাজ করে। এই দূরত্বরে মাঝে জায়গা করে নেয়- ইগ। ফলাফল নানা ধরণের উটকো ঝামেলা। এই সমস্যা সমাধানের জন্য যা করা উচিৎ তা হল :
১. সিনিয়র কাওকে যথোপযুক্ত সম্মান করলে স্বাভাবিক ভাবেই তারা যার পর নাই খুশি হবেন – বিনাকারণে কর্মক্ষেত্রকে যুদ্ধক্ষেত্র না বানিয়ে বড়দের সম্মান করার প্রয়োজন। তাই সিনিয়র কলিগদের সাথে মানিয়ে চলতে তাকে সম্মান করুন।
২. সিনিয়র কলিগটির সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তুলন। নিজে থেকেই তাদের সাথে বেশি বেশি কথা বলুন। অফিসে এসেই আন্তরিক ভাবে সকালের অভিনন্দন জানান। ছোটখাটো বিষয় জিজ্ঞেস করুন- যেমন নাস্তা করেছেন কি না, বাসার সবাই কেমন আছে, তার শরীর কেমন আছে ইত্যাদি। সব মিলিয়ে তার সাথে আন্তরিক আচরণ করুন।
৩. পুরনোরা আপনার থেকে অফিসিয়াল অনেক বিষয়ে বেশি জানবে – এটাই স্বাভাবিক। ইগো সরিয়ে, ‘সবজান্তার’ ভাব ঝেড়ে ফেলে আপনি যে বিষয়টা বুঝতে পারছেন না সেই বিষয়গুলো তাঁদের কাছে সমাধান করার জন্য নিয়ে যান। এতে করে দেখবেন সিনিয়ররা আপনার প্রতি বেশ আন্তরিক হবে এবং আপনাকে আন্তরিকভাবে সাহায্য করার চেষ্টা করবে।
৪. এক সাথে লাঞ্চ করাটা অনেক ইতিবাচক কাজ। অফিসে এক সাথে লাঞ্চ করার ব্যবস্থা থাকলে একসাথে লাঞ্চ করুন। বাসা থেকে রান্নাকরা খাবার নিয়ে আসলে তা শেয়ার করুন। এতে আন্তরিকতা অনেক বাড়ে।
৫. যে কোন অকেশনে বা প্রোগ্রামে সিনিয়রদের ছোটখাটো উপহার দিতে পারেন। নিজে উদ্যোগ নিয়ে সারপ্রাইজ বার্থডে পার্টির আয়োজন করতে পারেন। ম্যারিজ ডেতে উইশ কিংবা গিফট করতে পারেন। উৎসবের সময় পরিবারের সদস্যদের জন্য উপহার দিতে পারেন। এতে করে সিনিয়রদের একটা বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে উঠে।
৬. একই প্রতিষ্ঠানে কর্মরত এই পরিচয়ের বাইরেও সিনিয়রদের সাথে ব্যক্তিগত সম্পর্ক গড়ে তুলতে পারেন। এর জন্য উইকএন্ডে বাসায় দাওয়াত করে খাওয়াতে পারেন বা কোথাও ফ্যামিলিসহ ট্যুর দিয়ে আসতে পারেন।
জুনিয়রদের সাথে যেভাবে চলবেন
আপনি যখন চাকুরীতে ঢুকে ছিলেন তখন আপনি ছিলেন, বাকিদের তুলনায় কাজে অভিজ্ঞায় ফ্রেসার এবং বয়সে সবার ছোট। এখন আপনার বয়স এবং অভিজ্ঞতার সাথে সাথে বেড়েছে পজিশন। কিন্তু, আপনার অধস্তনদের প্রতিভা এবং দক্ষতা দেখে অস্তিত্ব সংকটে ভুগছেন। ভাবছেন আপনার চেয়ারটা দখল হতে বসেছে। এমন ভাবলে নিজেরই ক্ষতি করছেন। এই পরিস্থিতি ম্যানেজ করবেন যেভাবে-
অভিজ্ঞতার মূল্য:
আপনি অফিসে দুর্দান্ত কোন কাজ করতে পারলে, অন্যরা বলে অভিজ্ঞতার ফল! কারণ, অল্প বয়সে আপনার যে দক্ষতা দেখে আপনাকে প্রতিভাবান বলা হতো, বয়স বাড়ার সাথে সাথে আপনার সেই সব দক্ষতাকে বলা হচ্ছে অভিজ্ঞতা। তাই অভিজ্ঞতা দিয়ে জুনিয়রদের প্রতিভা মোকাবেলা করুন।
জ্বলে যাবে না:
জুনিয়রদের উন্নতি দেখে জ্বলে গিয়ে ওভার রিয়াক্ট করার ভাবনা ভুলেও মাথায় আনবে না। প্রফেশনাল লাইফ টি-টুয়েন্টি ম্যাচের মত নয়, টেস্ট ম্যাচ। এখানে অভিজ্ঞতার গুরুত্ব দিনের শেষে অনেকখানিই। জুনিয়ার সহকর্মীদের সঙ্গে ভাল ব্যবহার করুন। তাঁদের সাহায্য করার চেষ্টা করুন।
গুণ বিচারি:
জুনিয়রদের প্রতিভায় যদি আপনি বিচলিত হয়ে অন্যদের সামনে হেনস্থা করার চেষ্টা করবেন না। তারা খুত ধরে ‘হিংসুটে’আখ্যা না নিয়ে লংটার্মে ভাবুন। জুনিয়রদের পেছনে না লেগে তাদের গুণের জন্য বাহবা দিন। এর পারে আপনার মতে যে সব খুঁত আছে সেগুলো বলুন। এতে আপনারই সুবিচারের গুণ প্রকাশ পাবে।
উত্তরসূরি:
ইন-হাউজ আপনার জুনিয়রদের এমন ভাবে ব্যান্ডিং করুন যতে আপনাদের বাদ দিলে আপনার জুনিয়রদের প্রতিভার আলাদা অস্তিত্ব থাকে না। যে জুনিয়রকে আপনি আপনার হুমকি মনে করছেন, তাকে যেন সবাই আপনার জুনিয়ার বলেও ডাকতে পরে। এর জন্য যা করবেন তা হল, ইশারা ইংগিতে চাউর করবেন – ফ্রেশার হিসাবে যখন এই চাকুরীতে এসেছিলের তখন আপনার মধ্যে যে গুণ ছিল, আপনার জুনিয়রের মধ্যও সেই গুণই আপনি দেখতে পারছেন। সে যেন আপনার ছায়!
আপন করে নিন:
অল্প বয়সে মানুষ যে কোন ঝুঁকি নিতে পারে, কিন্তু বয়স এবং অভিজ্ঞতা বাড়ার সাথে সাথে তা কমে যায়। এ জন্য প্রবীণদের থেকে নবীনরা অনেক ‘চমক’ দেখাতে পারে। কিন্তু দিন শেষে স্থিতিশীলতা এবং নিরাপত্তার প্রশ্নে এগিয়ে থাকে অভিজ্ঞরা। ক্রিকেট টিমের মত সবারই আলাদা আলাদা পজিশন আছে। তাদের সেই পজিশনে খেলতে দিন। টিম ক¤ি॥^নেশন মাথায় নিয়ে যেসব জুনিয়রদের হুমকি মনে করেছন তাদেরকেই অনেক বেশি আপন করে নিন। দেখবেন নবীন-প্রবীণের শক্তি প্রতিষ্ঠানকে অনেক বড় বড় অর্জন এনে দিচ্ছে।
ভাল সহকর্মী হওয়ার সহজপাঠ্য:
সকালে ঘুম থেকে উঠেই কর্মক্ষেত্রে যাওয়ার প্রস্তুতি। আবার সেই রাতে ঘরে ফেরা। অর্থাৎ দিনের বেশিরভাগ সময়টাই কাটে কর্মক্ষেত্রে। তাই এই জায়গাটা একটু মানিয়ে নেওয়াই উচিত। না হলে মানসিক অশান্তিতে ভুগতে হবে। কর্মক্ষেত্রে কাজের চাপের কারণে এমনিতেই একটা চিন্তা থাকেই। তারপর যদি সহকর্মীদের সঙ্গে ভাল সম্পর্ক না থাকে তা মানসিক চাপের সৃষ্টি করে। সহকর্মীদের সঙ্গে ভাল সম্পর্ক বজায় রাখতে গেলে কয়েকটি কথা মাথায় রাখতে হবে:
১. নিজের সততা বজায় রাখুন।
২. সময়-সচেতন হন।
৩. ভাল শ্রোতা হওয়ার চেষ্টা করুন।
৪. প্রয়োজনের তুলনায় বেশি কথা বলবেন না।
৫. কর্মক্ষেত্রে সহকর্মীদের সঙ্গে পারিবারিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করবেন না।
৬. অন্য কোনও সহকর্মীর সমালোচনা আর এক সহকর্মীর কাছে করবেন না।
৭. কোন এক সহকর্মীর সঙ্গে বেশি ঘনিষ্ঠতা থাকলেও তা কর্মক্ষেত্রে প্রকাশ করবেন না।
৮. সবার সঙ্গে ভালভাবে কথা বলুন। খারাপ লাগলেও বুঝিয়ে বলুন। ওভার রিঅ্যাক্ট করবেন না।
৯. মনে রাখবেন অফিসের সহকর্মীরা শুধুমাত্র আপনার সহকর্মী। আপনার বন্ধু কিন্তু সবাই নয়।
১০. নিজের ‘ইমোশন’ সহকর্মীদের সঙ্গে ‘শেয়ার’ করবেন না।
১১. বিশ্বাস করে মনের কথা সহকর্মীদের কাছে উজাড় করে দেবেন না।
১২. আপনার প্রতিষ্ঠান বা প্রতিষ্ঠানের প্রধানদের বিরুদ্ধে সমালোচনা সহকর্মীদের সঙ্গে করবেন না।
১৩. সহকর্মীদের সঙ্গে মিলেমিশে থাকার চেষ্টা করুন। সবাইকে আপনার পছন্দ নাও হতে পারে। কিন্তু তা প্রকাশ করবেন না। মনে রাখবেন আপনার আচরণ খারাপ হলে কর্মক্ষেত্রে আপনার ‘রেপুটেশন’ খারাপ হতে পারে।
১৪. সময় থাকলে সপ্তাহ শেষে ছুটির দিন সহকর্মীদের সঙ্গে আড্ডা দিন। কিন্তু মনে রাখবেন কখনওই প্রতিষ্ঠানের বিষয় তুলবেন না সেই আড্ডায়।
এই কয়েকটা জিনিস মাথায় রেখে কাজকে উপভোগ করুন, আর সহকর্মীদের মনে করুন সহযাত্রী – যাদেও সাথে পাড়ি দিতে হবে লম্বা একটা সময়। ব্যস, নো চিন্তা এভাবে চলতে পারলে আপনি হবেন ‘গুড কলিগ’, ‘গুড এমপ্লয়ি’।
আরও পড়ুন: